বামফ্রণ্ট রেড রোডে প্রতীকী প্রতিবাদ করেছিল। এবার তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বিজেপি নেতা-কর্মীরা বাড়িতে দু' ঘণ্টা প্রতীকী অবস্থানে বসবেন। বঙ্গ বিজেপির সঙ্গে যুক্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও নিজ নিজ রাজ্যে নিজেদের বাড়িতে অবস্থানে বসবেন। একইসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দেন, তাঁদের কর্মীদের জবরদস্তি কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন মেদিনীপুরের সাংসদ।
করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে রেশন নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ হয়েছে। রাজ্যের খাদ্য় দফতরের সচিবকে সরিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিকে এ রাজ্যে পরিদর্শনে আসা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে রাজ্য সরকার। কোরনা মোকাবিলা নিয়ে চলছে রাজ্যপালের সঙ্গে পত্রাঘাতের পালা। বিজেপি সভাপতির দাবি, "রাজ্যে রেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বিরোধীদের আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে। একাধিক মৃতদেহ হাসপাতালে পড়ে রয়েছে। ভুল তথ্য দিচ্ছে রাজ্য। এ সবের প্রতিবাদ করার জন্য় ২৬ এপ্রিল রবিবার সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত প্রতীকী অবস্থান করব। বিজেপির সমস্ত নেতা-কর্মীরা নিজের নিজের বাড়িতে আবস্থান করবেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় ইন্দোরে, অরবিন্দ মেনন ও শিবপ্রকাশ দিল্লিতে অবস্থান করবেন নিজের বাড়িতে। লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব মেনেই এই মৌন প্রতিবাদ।"
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রী আপনি ‘পাহাড় প্রমাণ ব্যর্থতা’ ঢাকতেই ‘স্ট্রিট ফাইটার’ অবতার ধারণ করেছেন: রাজ্যপাল ধনকড়
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চোধুরীর রায়গঞ্জের বাড়িতে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোয়ারেন্টাইনের নোটিস দেওয়া হয়েছিল। বঙ্গ বিজেপির সভাপতির বক্তব্য, "আমাদের একাধিক মন্ত্রী ও সাংসদকে কোয়ারেন্টাইনের নোটিস দেওয়া হচ্ছে। আমাদের জন্য জবরদস্তি কোয়ারেন্টাইন। প্রথম দিন থেকে লকডাউন ভেঙে এক মাস ধরে রাস্তায় ঘুরছেন। সব করছেন, এ টু জেড। একাই করছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো উচিত। তাঁর নেতা-মন্ত্রীরা দু'বেলা চাল-ডাল বিতরণ করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের জন্য আইন কেন আলাদা আমরা বুঝতে পারছি না।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন