তৃণমূলের দোর্দদণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে দাঁড়িয়েই বিস্ফোরক রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বললেন, 'পশ্চিমবঙ্গ দ্বিতীয় কাশ্মীর হয়ে গিয়েছে'। একই সঙ্গে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি।
বুধবার সিউড়িতে চা চক্রে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে উপদ্রুত জেলা হচ্ছে বীরভূম। পার্টি অফিসে ঝুড়ি ঝুড়ি বোমা পাওয়া যাচ্ছে। এখানে পার্টির নেতার বাথরুমের মধ্যে বস্তায় বোমা পাওয়া যায়। একটাই কারখানা চলে, বোমার কারখানা। জেলাজুড়ে বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। সব জঙ্গি ধরা পড়ছে পশ্চিমবঙ্গে।’
এরপরই মেদিনীপুরের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতির দাবি, 'পশ্চিমবঙ্গে এসে সব জঙ্গি আশ্রয় নিচ্ছে। মুর্শিদাবাদে ২–৩ বার জঙ্গি ধরা পড়ল। সারা রাজ্যে জাল বিস্তার করেছে এই জঙ্গিরা। বীরভূমেও বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। এখানেও জঙ্গি ধরা পড়েছে। কাশ্মীরেও এত জঙ্গি ধরা পড়ে না। পশ্চিমবঙ্গ হয়ে গিয়েছে দ্বিতীয় কাশ্মীর।' দিলীপবাবু মনে করেন, এ জন্যই বাংলার মানুষ আগামী বিধানসবা ভোটে পরিবর্তন চাইছেন।
এখানেই থামেননি গেরুয়া বাহিনীর রাজ্য সভাপতি। বীরভূমে দাঁড়িয়েই তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে চ্যালেঞ্জও ছুঁড়েছেন দিলীপ ঘোষ। বলেছেন, 'লোকসভা ভোটে সিউড়ি পুরসভার ২১টার মধ্যে ১৮টা আসনেই লিড নিয়েছে বিজেপি। দম থাকলে আগামি ইলেকশন জিতে দেখান। ওদের খাতা খোলাই সমস্যা করে দেব।'
দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পাল্টা এদিন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, 'সাম্প্রদায়িক উস্কানি তুলে বিভাজনের রাজনীত চেষ্টা করছে বিজেপি। কিন্তু বিবেকানন্দ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাংলায় তা সম্ভব নয়। যেখানে বিজেপি ক্ষমতায় নেই সেখানটাকে কাশ্মীর ভাবছে, আর যেখানে ক্ষমতায় রয়েছে সেগুলোকে কাশ্মীর বানিয়ে চাড়ছে।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন