প্রশান্ত কিশোরের উপর বাজি রেখে আবারও দিল্লির মসনদে বসেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। উনিশের নির্বাচনে ‘ধাক্কা’ সামলে একুশে বঙ্গভূমিতে নিজ দুর্গ বাঁচাতে সেই পিকেরই শরণাপন্ন হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন প্রেক্ষিতে প্রশান্ত কিশোরকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মাসতুতো ভাই’ বলে তীব্র কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোকে নিশানা করে এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘দিদিমণি ভয় পেয়েছেন’’।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ?
বুধবার জলপাইগুড়িতে মমতাকে আক্রমণ করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘বাংলার মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তৃণমূলকে ভোট দেবেন না। দিদিও বুঝে গিয়েছেন, তাই নিজের ভাইদের ভরসা নেই। বিহার থেকে মাসতুতো ভাই পিকেকে নিয়ে এসেছেন। নিজের লোকের উপর ভরসা নেই। বাইরে থেকে লোক ভাড়া করে এনেছেন’’।
মমতা ও পিকেকে তীব্র কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের#MamataBanerjee #dilipghosh #PrashantKishor pic.twitter.com/FVYdjuQNpG
— Indian Express Bangla (@ieBangla) February 12, 2020
(ভিডিও-সৌমিত্র সান্যাল)
আরও পড়ুন: বিজেপি ভোকাট্টা, শেষ কলস ডোবাবে একুশের বাংলা: মমতা
প্রসঙ্গত, উনিশের লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন জিতে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার কুর্সি দখলে ঝাঁপিয়ে পড়েছে গেরুয়াবাহিনী। এদিকে, উনিশের ‘ধাক্কা’ সামলে একুশে ঘুরে দাঁড়িয়ে নিজের জমি ধরে রাখতে মরিয়া মমতা বাহিনী। উনিশের নির্বাচনে বিপর্যয়ের পরই একদা মোদী-শাহের ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের শরণাপন্ন হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে পিকের কৌশলেই এগোচ্ছে মমতার দল, এমনটাই পর্যবেক্ষণ রাজনৈতিক মহলের একাংশের। প্রশান্ত কিশোরের কৌশলেই ‘দিদিকে বলো’র মতো জনসংযোগ কর্মসূচিতে জোড়াফুল শিবির ঝাঁপিয়ে পড়েছে বলে মত রাজনীতির কারবারিদের একাংশের। এমনকি গত বছরের শেষে রাজ্যের তিন বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের হ্যাটট্রিকের নেপথ্যেও পিকের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। এই প্রেক্ষাপটে দিল্লি ভোটের ফলের পর একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা-পিকেকে নিয়ে যেভাবে কটাক্ষ করলেন দিলীপ, তা রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শুনানির লাইভ সম্প্রচার ইউটিউবে! নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত কলকাতা হাইকোর্টের
মমতাকে আক্রমণ করে এদিন দিলীপ আরও বলেন, ‘‘দিদিমণি ভয় পেয়েছেন। উত্তরবঙ্গে এসে বলেছেন পাহাড় হাসছে, কিন্তু মমতার মুখে এখন আর হাসি দেখা যায় না। মুখ শুকিয়ে গিয়েছে। জঙ্গলমহলে বলতেন, জঙ্গলমহল হাসছে, লোকে এমন ঝামা ঘষেছে যে আর ওমুখো হন না। সেদিন বাঁকুড়ায় গিয়েছিলেন, সেই মাওবাদীরা, যারা মারপিট করে ভয় দেখিয়ে মমতাকে জিতিয়েছিল, তাদের খুঁজতে গিয়েছিলেন। তাদের ওষুধ দিয়ে, জেল থেকে ছাড়িয়ে ভোট জেতার চেষ্টা করছেন। কোনও মাওবাদী বাংলায় চলবে না। জয় শ্রীরাম চলবে, ভারতমাতা কী জয় চলবে। মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোট জেতা যাবে না’’। উল্লেখ্য, ক’দিন আগেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন জঙ্গলমহলের নেতা ছত্রধর মাহাতো। ছত্রধরের তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা তুঙ্গে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন