লকডাউন ইস্য়ুতে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে আক্রমণ করলেন বিজেপি রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ''বাংলায় লকডাউনে ঢিলেমি করা হচ্ছে। মুখ্য়মন্ত্রী লকডাউন নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য় করছেন'', এ ভাষাতেই মমতাকে নিশানা করেছেন দিলীপ ঘোষ। উল্লেখ্য়, করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। আগামী সপ্তাহেই লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এদিকে, ভাইরাসে দেশে আক্রান্ত ও মৃত্য়ুর সংখ্য়া বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছে একাধিক রাজ্য়। এদিন নবান্নে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, ''লকডাউন উঠবে কিনা জানি না''।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ?
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি রাজ্য় সভাপতি বলেন, ''বাংলায় লকডাউন ঢিলেঢালা হচ্ছে। মুখ্য়মন্ত্রী লকডাউন নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য় করছেন। তেলঙ্গানার মুখ্য়মন্ত্রী লকডাউন বাড়ানোর কথা বলেছেন। আর আমাদের মুখ্য়মন্ত্রী গুরুত্ব দিচ্ছেন না। মানুষকে বাইরে বেরোনোর আগ্রহ দেখানো হচ্ছে। যদি মুখ্য়মন্ত্রী গুরুত্ব না দেন, তাহলে সাধারণ মানুষ কী করে গুরুত্ব দেবেন''।
আরও পড়ুন: লকডাউন উঠবে কিনা জানেন না মমতাও
এ প্রসঙ্গে দিলীপ আরও বলেন, ''আগামী ৪-৫ দিন বিপজ্জনক সময়। ঢিলেমি করলে রোগ বাড়বে। আর ক' টা দিন কষ্ট করে বাড়িতে থাকতে হবে। সবার কাছে আবেদন করছি, সতর্ক থেকে বাকি লড়াইটা শেষ করুন''।
এরপর মমতাকে বিঁধে দিলীপ আরও বলেন, ''করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের গাফিলতি দেখতে পাচ্ছি। রাজ্য়ে কম পরিমাণে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে, রোগীর সংখ্য়া কম দেখানো হবে বলে''।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় মমতা সরকারকে বিশেষ পরামর্শ নোবেলজয়ী অভিজিতের
এদিন, নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ''লকডাউন উঠবে কিনা জানি না, উঠলেও হুড়মুড় করে সকলে আসতে থাকবেন, তখন সেটা সঙ্কটজনক হবে''। অন্য়দিকে, লকডাউনের মধ্য়েই বুধবার থেকে ফুলবাজার খোলার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা। পাশাপাশি কৃষকবাজার, কিষাণমান্ডি চালু রাখার কথা জানিয়েছেন।
রাজ্য়ের বিরোধীদের উদ্দেশে এদিনও মমতা বলেছেন, ''কেউ কেউ তো এই বাজারে রাজনীতি করে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। পরষ্পর বিরোধী রাজনৈতিক বক্তব্য় করার সময় নয়, ঘোলা জলে মাছ ধরার সময় নয় এখন। এই রোগকে মোকাবিলা করতে হবে''।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন