"রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছা অবসর নিলে কেমন হয়?" মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায়ের এই ফেসবুক পোস্ট নিয়ে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। অনেকেই ভাবছেন হঠাৎ কেন এই পোস্ট করলেন বীজপুরের বিধায়ক। বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতির পুত্র বুঝে নিতে চাইছেন মানুষ কী বলতে চাইছে।
আরও পড়়ুুন- মণীশ খুনে দুই তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিআইডির
বীজপুরের দুবারের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়। ২০১৭-এর নভেম্বরে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তখনও শুভ্রাংশু তৃণমূলেই ছিলেন। মুকুল রায় বলতেন, "ছেলের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আমি কেন চাপাতে যাব।" ২০১৯-এ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করে শুভ্রাংশুকে। তারপরই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভ্রাংশু। বীজপুরের রাজনীতিতে স্থানীয় স্তরে অনেকেই ঘনঘন দল পরিবর্তন করেছেন, তাও প্রত্যক্ষ করা গিয়েছে। কে কোন দলে তা বোঝাই যেন দায়। এরইমধ্যে শুভ্রাংশুর এই স্বেচ্ছা অবসরের পোস্ট নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়়ুুন- “আমরা দাদার অনুগামী”, বঙ্গ রাজনীতিতে কিসের ইঙ্গিত?
বিজেপি বিধায়কের এই পোস্ট নিয়ে তাঁর ফেসবুক ওয়ালের কমেন্টে অনেকে অনেক আবেদন নিবেদন করেছেন, অনেকে পরামর্শও দিয়েছেন। কেউ আবার তাঁর জানতে চাওয়ার প্রেক্ষিতে সাধুবাদ জানিয়ে অবসর নিয়ে সহমত পোষণ করেছেন। কিন্তু আদপে কী বলতে চেয়েছেন শুভ্রাংশু রায়?
আরও পড়়ুুন- বঙ্গ বিজেপির আশায় জল ঢেলে পুজোর আগে রাজ্যে আসছেন না অমিত শাহ
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বীজপুরের বিধায়ক বলেন, "ভাল করে পোস্টটা পড়লে যে কেউ বুঝতে পারবে কেন এই পোস্ট করেছি। আমি মানুষের কাছ থেকে সাজেশন নিতে এই পোষ্ট করেছি। তার বেশি কিছু না। ওয়ালে প্রচুর লোক মতামত দিয়েছেন। অনেকে আমাকে ফোনও করেছেন। অনেকেই বলছেন এটা অবসরের সময় নয়।"
আরও পড়়ুুন- অভিমন্যুর মতো কি চক্রব্যূহে অর্জুন?
কেন এই পোস্ট তার বিস্তারিত ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মুকুলপুত্র। শুভ্রাংশু বলেন, "মানুষের কাজ করতে হলে রাজনীতি করতে হবে তার তো কোনও মানে নেই। সেটাই জিজ্ঞেস করতে চেয়েছি। শেখার তো কোনও শেষ নেই। রাজনীতি করি বলি সব কিছু জানি এটা হতে পারে না। ৪ বছরের শিশুর কাছ থেকে অনেকে কিছু শিখতে পারি আবার ৮০ বছরের মানুষের কাছে অনেক কিছু জানতে পারি। সাজেশন নিতে তো কোন দোষ নেই। আমি নিজে কি সেটা যেমন আমার ভাবনা তেমনি আমার বিপরীত দিকে যাঁদের অবস্থান তাঁরা বিচার করে আমাকে পরামর্শ দিতে পারে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন