নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে সোমবার ভোটাভুটি হয়েছে লোকসভায়। তৃণমূল কংগ্রেস এই বিলের বিরোধিতায় প্রথম থেকেই সরব। তাই শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে বিল নিয়ে বিতর্কের সময় দলের সব সাংসদদের রাজ্যসভা ও লোকসভায় উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু হুইপ জারি করা হয়নি। তবে সোমবার দিল্লি দরবারে দেখা মেলেনি তৃণমূলের ছয় সাংসদের। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেব, মিমি চক্রবর্তী, শিশির অধিকারী, চৌধুরী মোহন জাটুয়া, দিব্যেন্দু অধিকারী এবং খালিলুর রহমান।
এদিকে, তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্দেশ সত্ত্বেও দেব ও মিমির অনুপস্থিতি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয় সোশাল মিডিয়ায়। তারকা সাংসদদের লোকসভায় উপস্থিত থাকতে দেখা যায় না, এ বদনাম অনেকদিনের। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ দিনে তাদের গড়হাজির থাকার ছবি সেই অভিযোগকে দৃঢ় করেছে বলে সরব নেটিজেনরা। আর এই সময়েই সহশিল্পী দেব ও মিমির জন্য ই-আঙিনায় নামেন বসিরহাটের সাংসদ নুসরত।
আরও পড়ুন, মুরলীধর সেন লেনে অকাল দীপাবলি
টুইটারেতিরা দুই তারকা সাংসদের অনুপস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ শুরু করেন। আর তখনই সরব হন নুসরত জাহান। প্রতিটি সমালোচনার জবাব দেন তিনি। সংসদে হাজির না থাকার কারণ হিসাবে নুসরতের ব্যাখ্যা, ''আমার সহকর্মী মিমি চক্রবর্তী ও দেব শুটিং করছেন এবং এটাও আমাদের 'বাড়তি' দায়িত্বর মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, শুটিং সেটে ৩০০-র বেশি মানুষ রোজ কাজ করেন।''
নীচে একনজরে টুইট যুদ্ধ:
আরও পড়ুন, কলকাতার রাজপথে ‘লং মার্চ’, অচল হতে পারে শহর
উল্লেখ্য, সোমবার অধিবেশন চলাকালীন হঠাৎ বেরিয়ে গেলেও ২.৩০ নাগাদ ভোট দিতে এসেছিলেন নুসরত জাহান। টুইটারেতির প্রশ্নে এই উত্তরও দিয়েছেন নায়িকা সাংসদ। সমালোচনার মুখে নুসরতের স্পষ্ট বার্তা, ''মানুষ কেন এত বেশি নেতিবাচক কথা বলে? এসব না করে নিজের কাজে মন দিলে পৃথিবীটা একটু কম বিরক্তিকর হয়।'' যদিও কিছুদিন আগেই শীতকালীন অধিবেশনে গিয়েছিলেন মিমি, তবে ভোটাভুটির দিন দেখা মেলেনি তাঁর। প্রসঙ্গত, সোমবার মধ্যরাতেই লোকসভায় ৩১১-৮০ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাস হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল।