ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিধায়কপদ খারিজ নিয়ে রাজ্যপালকে মতামত জানাল নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, হেমন্ত সোরেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদের পাশাপাশি খনি এবং বনমন্ত্রীর দায়িত্বেও রয়েছেন। তাঁর একটি পাথর খাদানের ইজারা রয়েছে। সেই কারণে তিনি পদ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। তাই সোরেনের বিধায়কপদ খারিজ করা উচিত। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই রাজ্যপাল রমেশ বৈস নির্বাচন কমিশনের মতামত জানতে চেয়েছিলেন। তার প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার মতামত জানাল কমিশন।
Advertisment
রাজ্যপালের এই পদক্ষেপের কড়া নিন্দা করে হেমন্ত সোরেন বলেন, 'রাজ্যপাল বা নির্বাচন কমিশন এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে কোনও যোগাযোগই করেনি। মনে হচ্ছে বিজেপি নেতারাই যেন সবকিছু পরিচালনা করছেন। সব সরকারি সংস্থা যেন বিজেপির সদর দফতরের নির্দেশে চলছে। সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষের এমন নির্লজ্জ অপব্যবহার ভারতীয় গণতন্ত্রে বিরল।' কমিশনের একটি সূত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে, 'সকালের বিমানেই কমিশনের মতামতা রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছে। রাজ্যপাল যখন ঠিক মনে করবেন, তা দেখে নেবেন।'
মে মাসে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৯এ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে হেমন্ত সোরেনকে নোটিস পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৯এ ধারা অনুযায়ী, সরকারের সঙ্গে স্থায়ী চুক্তি আছে এমন কোনও ব্যক্তি জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য নন। তাই একজন নির্বাচিত সদস্য যিনি 'পণ্য সরবরাহ' বা 'কোনও কাজ সম্পাদনের জন্য' সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ, তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে অযোগ্য।
বিজেপির অভিযোগ যে হেমন্ত সোরেন, খনি দফতরের দায়িত্বে থাকাকালীন, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন লঙ্ঘন করে ২০২১ সালে নিজে একটি পাথর খাদানের ইজারা নেন। পাশাপাশি, তাঁর রাজনৈতিক উপদেষ্টা পঙ্কজ মিশ্র এবং জনসংযোগ উপদেষ্টা অভিষেক প্রসাদকেও খাদানের ইজারা দিয়েছেন।
বিজেপি এনিয়ে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল আবার বিষয়টি সংবিধানের ১৯২ অনুচ্ছেদের আওতায় বিষয়টি বিবেচনার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়েছে। সংবিধানের ১৯২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যপাল বিধানসভার কোনও সদস্যকে অযোগ্য ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।