ফ্রিবিজ বা 'রেভদি' বা ভর্তুকিতে পরিষেবা বিতর্কের জেরে নির্বাচন কমিশন শীঘ্রই একটি প্রস্তাব দিতে চলেছে। এই প্রস্তাবে কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোকে বিধানসভা বা লোকসভা নির্বাচনের আগে দেওয়া ভর্তুকির প্রতিশ্রুতি পূরণের ব্যাপারে বিস্তারিত জানানোর পরামর্শ দিচ্ছে। যেখানে বলা হচ্ছে, ভর্তুকির খরচ রাজনৈতিক দলগুলো কোথা থেকে জোগান দেবে, তা স্পষ্টভাবে জানাতে।
ফ্রিবিজ বা ভর্তুকিতে পরিষেবা একটি জনকল্যাণমূলক বিষয়। এই ব্যাপারটিকে নির্দিষ্ট কোনও সংজ্ঞার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করার সুযোগ নেই। ইতিমধ্যে, সুপ্রিম কোর্ট ফ্রিবিজ পিটিশনের শুনানি করছে। কিন্তু, আইন লাগু করে একে আটকানো যায় না। তাই নির্বাচন কমিশন চায় রাজনৈতিক দলগুলো এই ধরনের প্রতিশ্রুতি যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করুক।
এই সব প্রতিশ্রুতি পূরণের অর্থ কোথা থেকে আসবে, তা বিশদভাবে জানাক। কারণ, ভোটারদের বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে জানা দরকার বলেই মনে করছে কমিশন। এর ফলে ভোটাররা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সঠিকভাবে তুলনা করতে পারবে। নির্বাচনে জয়ের পর রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি আদৌ পূরণ করতে পারবে কি না, তা বুঝতে পারবে। এমনটাই মনে করছে কমিশন।
নির্বাচন কমিশন চায়, এই ব্যাপারে রাজ্যগুলোর মুখ্যসচিব এবং কেন্দ্রীয় অর্থসচিব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করুক। যখনই যেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং কেন্দ্রীয় অর্থসচিব বড় দায়িত্ব নিক। দলগুলোর কাছে থেকে প্রতিশ্রুতি পূরণের অর্থ কোথা থেকে আসবে, তার বিস্তারিত হিসাব জেনে নিক। আর, সেই হিসাব নির্বাচন কমিশনের কাছে তুলে দিক। তার মধ্যে করের বিন্যাস, ব্যয়ের বিশদ সরবরাহ সম্পর্কে বিস্তারিত থাকতে হবে বলেই জানিয়েছে কমিশন।
আরও পড়ুন- ‘ওরা পুজো মানে না, তা পুজোর দিনেই কেন স্টল?’, বামেদের বিঁধে সরব কুণাল
সূত্রের খবর, আপাতত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে বিষয়টি প্রস্তাব হিসেবে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু, এই প্রতিশ্রুতি পূরণের ব্যাপারে দলগুলোর বক্তব্যকে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধির তালিকায় ফেলতে চায় কমিশন। এজন্য প্রয়োজনে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনও করা হতে পারে বলেই কমিশন সূত্রে খবর। আর, সেই কারণে এই প্রস্তাবের ব্যাপারে দলগুলোর পরামর্শও চান কমিশনের কর্তারা।
কমিশন চায়, দলগুলো স্পষ্ট করে জানাক, তারা কত টাকা ভর্তুকি কোন খাতে দেবে। যদি এটি একটি কৃষি ঋণ মকুবের ব্যাপার হয়, তবে এটি কি সমস্ত কৃষকদের জন্য উপলব্ধ হবে, নাকি শুধুমাত্র ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য, সেগুলো স্পষ্ট করে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে উল্লেখ করুক। দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য অর্থ কোথা থেকে আসবে? যদি এটা রাজ্য এবং কেন্দ্রের যৌথ বিষয় হয়, তবে প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য গোটা খরচটা কি যৌথভাবেই বহন করা হবে? নাকি রাজ্য বা কেন্দ্র একা বহন করবে, সেসবও বিস্তারিত জানাক দলগুলো। এমনটাই চাইছে কমিশন।
Read full story in English