এলগার পরিষদ তদন্তে যে পাঁচ সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে নিষিদ্ধ সিপিআই মাওবাদী সংগঠনের যোগাযোগের ‘অকাট্য প্রমাণ’ রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে মহারাষ্ট্র পুলিশের তরফ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে।
ওই পাঁচজন সমাজকর্মীকে গ্রেফতারের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিলেন ঐতিহাসিক রোমিলা থাপার ও আরাও চারজন। সেই আবেদনের জবাব দিতে গিয়ে মহারাষ্ট্র পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা হিংসা, রাষ্ট্র ও নিরাপত্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে পরিকল্পিত হামলার ছক কষছিলেন।
আরও পড়ুন, এলগার পরিষদ কাণ্ডে ধৃতদের ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট
মহারাষ্ট্র পুলিশ শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে, ‘‘ওই সমাজকর্মীদের ভিন্ন মতামতের জন্য গ্রেফতার করা হয়নি।’’
রোমিলা থাপারদের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলে মহারাষ্ট্র পুলিশ সুপ্রিম কোর্টে যে পাল্টা হলফনামা জমা দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, আবেদনকারীরা কোনওভাবেই ভীমা কোরেগাঁও হিংসা মামলার সঙ্গে যুক্ত নন।
এর আগে পাঁচ সমাজকর্মীকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, ভিন্নমত গণতন্ত্রের সেফটি ভালভ। মহারাষ্ট্র সরকার রোমিলা থাপারদের অবস্থান নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছিল, তাকেও আমল দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।
এ ব্যাপারে পরবর্তী শুনানি আগামী ৬ সেপ্টেম্বর।
আরও পড়ুন, গৌরী লঙ্কেশ মৃত্যুবার্ষিকী: তদন্তে সাফল্যের মুখ, গুলি চালিয়েছিল ওয়াগমারেই
২৮ অগাস্ট মহারাষ্ট্র পুলিশ বিভিন্ন রাজ্যে পরিচিত অ্যাক্টিভিস্টদের বাড়িতে হানা দেয়। গ্রেফতার করা হয় ভারভারা রাও, অরুণ ফেরেইরা, ভার্নন গনজালভেজ, সুধা ভরদ্বাজ এবং গৌতম নওলাখাকে। গত বছর ৩১ ডিসেম্বর পুনেতে আয়োজিত এলগার পরিষদ কনক্লেভে মাওবাদী যোগাযোগ নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে ওই হানা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই গ্রেফতারির বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন ঐতিহাসিক রোমিলা থাপার, অর্থনীতিবিদ প্রভাত পট্টনায়েক এবং দেবকী জৈন, সমাজবিদ্যার অধ্যাপক সতীশ দেশপাণ্ডে এবং মানবাধিকার আইনজীবী মাজা দারুওয়ালা। তাঁরা ওই পাঁচ অ্যাক্টিভিস্টের গ্রেফতারি নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের পাশাপাশি পাঁচজনকে মুক্তি দেওয়ারও দাবি তোলেন।