এক ঠিকাদারকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে এবার পদ ছাড়তে হচ্ছে কর্নাটকের মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পাকে। শুক্রবারই রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করছেন ঈশ্বরাপ্পা। মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্মাই জানিয়েছেন ঈশ্বরাপ্পা নিজে থেকেই পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর পদত্যাগ নিয়ে দল কোনও চাপ দেয়নি বলেই দাবি করেছেন বোম্মাই।
কর্নাটকের উদুপির একটি লজে এক ঠিকাদারে রহস্যমৃত্যুতে কাঠগড়ায় কর্নাটকের মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পা। ঠিকাদারের কাছে ক্রমাগত 'কমিশন' চেয়ে তিনি চাপ দিতেন বলে অভিযোগ। দিন কয়েক আগে একটি লজ থেকে সন্তোষ পাটিল নামে ওই ঠিকাদারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত্যুর আগে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীকে ইশ্বরাপ্পার বিরুদ্ধে চিঠি লিখে নালিশ জানিয়ে গিয়েছেলেন সন্তোষ। তাঁর মৃত্যুর পরেই ইশ্বারাপ্পাকে কাঠগড়ায় তুলে সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরা। তাঁর পদত্যাগ ও গ্রেফতারের দাবিতে সরব বিরোধী কংগ্রেস থেকে শুরু করে একাধিক রাজনৈতিক দল।
আরও পড়ুন- সংক্রমণ রুখে স্কুল চালু রাখতে নয়া গাইডলাইন আনতে চলেছে দিল্লি সরকার
কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার মন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ''পদত্যাগ কোনও সমাধান নয়। দুর্নীতির মামলা করতে হবে। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে।'' যদিও পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাই বলেন, ''বিরোধীদের এই ঘটনার তদন্তকর্তা বা বিচারক হওয়ার প্রয়োজন নেই।''
এদিকে, প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রমেশ জারকিহোলি বৃহস্পতিবার দাবি করেন, 'এক মহানায়ক'-সহ একদল লোক তাঁকেও ২০২১ সালে ধর্ষণের মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল। সেই দলটিই ঠিকাদারের মৃত্যুর পিছনে রয়েছে। এপ্রসঙ্গে রমেশ জারকিহোলি বলেন, ''সোমবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করব। সন্তোষ পাটিলের মৃত্যুর আগে কী ঘটেছিল তার বিশদ বিবরণ আমি প্রকাশ্যে আনব। আমার ক্ষেত্রে যে দলটি জড়িত ছিল সেই দলটিই ঈশ্বরাপ্পার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রে জড়িত। আমরা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে এব্যাপারে কথা বলব।''
Read story in English