বিজেপিতে যোগ দিলেন পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। এর আগে সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডার সঙ্গে তিনি দেখা করেন। সোমবারই যোগদানের আগে দিল্লিতে গিয়ে নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন অমরিন্দর। এর আগে পঞ্জাব লোক কংগ্রেস (পিএলসি) নামে নতুন রাজনৈতিক দল তিনি গঠন করেছিলেন। সেই দলও বিজেপির সঙ্গে মিশে গেল। অমরিন্দরের সঙ্গেই বিজেপিতে যোগ দিলেন পঞ্জাব লোক কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রীতপাল সিং বালিয়াওয়াল-সহ পঞ্জাব লোক কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃত্ব। পিএলসির কোন নেতারা অমরিন্দরের সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেবেন, তার চূড়ান্ত তালিকা আগেই তৈরি করা ছিল। এমনটাই জানিয়েছেন বালিয়াওয়াল।
Advertisment
গত বছর ২ নভেম্বর পঞ্জাব লোক কংগ্রেস তৈরি হয়েছিল। তার আগে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অমরিন্দর সিং ইস্তফা দেন। পাশাপাশি তিনি কংগ্রেসও ছেড়ে দেন। সম্প্রতি লন্ডনে গিয়ে স্পাইনাল সার্জারি করিয়ে এসেছেন অমরিন্দর। দেশে ফিরে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। বৈঠক করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গেও। এই বৈঠকের পর অমরিন্দর জানান যে শাহ ও মোদীর সঙ্গে তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে কথা হয়েছে। পাশাপাশি, আলোচনা হয়েছে পঞ্জাবের মাদক সন্ত্রাসবাদ ও পঞ্জাবের উন্নয়ন নিয়েও। টুইটে অমরিন্দর লিখেছেন, 'অমিত শাহজির সঙ্গে খুব গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।'
শুধু অমরিন্দরই নন। গত এক সপ্তাহে গোয়ায় আট কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা দল ছেড়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন গুলাম নবি আজাদের মত প্রবীণ কংগ্রেস নেতৃত্বও। অবশ্য আজাদ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত তিনি নিজের রাজনৈতিক দল গঠনের দাবিই করে চলেছেন। দলীয় নেতাদের এভাবের কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে নারাজ প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কমল নাথ।
তিনি বলেন, 'যে বিজেপিতে যেতে চায়, যাক। আমরা কাউকে বাধা দেব না। যদি কংগ্রেস নেতৃত্ব দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে চান, আমি তাঁদের নিজের গাড়ি দেব। কংগ্রেস কাউকে আটকাবে না। কয়েকজন দল ছাড়ছেন বলেই কি আপনারা মনে করছেন যে কংগ্রেস শেষ হয়ে গিয়েছে? কেউ চাপের মুখে কিছু করে না। যাঁর যেটা ইচ্ছা, সে সেটাই করে।'