Advertisment

এক্সক্লুসিভ দিলীপ ২: আমার অমিত শাহকে ফোন করার প্রয়োজন পড়ে না

"সংঘর্ষের রাজনীতি পশ্চিমবাংলায় নতুন নয়, কমিউনিষ্টরা যেদিন থেকে এসেছে, সেদিন থেকে হিংসার রাজনীতি শুরু হয়েছে।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
dilip ghosh, bjp

অমিত শাহকে আমি ফোন করি না। বললেন দিলীপ ঘোষ।

"যাঁরা বলেন দিল্লিতে অমিত শাহ আমার সঙ্গে দেখা করেন না, তাঁদের বলছি, আমার অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করার প্রয়োজন নেই। আমি তাঁকে ফোনও করি না।" অথবা, "সংঘর্ষের রাজনীতি এরাজ্যে নিয়ে এসেছে কমিউনিস্টরা। আমি 'হার্ড লাইন' নিয়েছি বলেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাল ফল পেয়েছি। আর আমডাঙ্গায় সিপিএমের ১১ জন জয়ী পঞ্চায়েত প্রার্থীকে আমরাই শেল্টার দিয়েছি।" ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে তাঁর একান্ত সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় কিস্তিতে এভাবেই একের পর এক অ্যাটম বোমা বিস্ফোরণ ঘটালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। জানিয়ে দিলেন, আগামী এক বছর তিনিই দলের রাজ্য সভাপতি থাকছেন।

Advertisment

সরাসরি রাজনীতিতে আসার পর থেকেই মারের বদলা মার। এটাই 'টেকনিক' বিজেপির রাজ্য সভাপতির। বলেছেন, রথের চাকা আটকালে বুকের ওপর দিয়ে চালিয়ে দেব। ছাড়েন নি পুলিশকেও। বলেছেন পুলিশের উর্দি খুলে দেবেন। নিজে গত বছর একাধিকবার আক্রান্ত হয়েছেন। তবু কেন এই কৌশল?

যদি ব্যক্তিগতভাবে জিজ্ঞেস করেন, আমি তো বলবো আমি রাজনীতি করার লোক, আমি মারপিট করতাম না। এসব কথা মিথ্যে। কিন্তু যখন রাজনীতিতে এলাম, তারপর জিতলাম, আমি দেখলাম আমাকে খুনের মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে খড়্গপুরে। মাফিয়া খুনের ঘটনায়। যদিও আমি তখন বাংলাদেশে ছিলাম। তারপর নানা কারণে আমাকে আক্রমন করা হয়েছে। বিনা কারণে আমাকে পর পর কেস দিয়েছে। তখন ভাবলাম, এটাই রাজনীতি। তার জবাব দেওয়ার একটা মাধ্যম থাকা উচিত। আমি আমার মত জবাব দিতে শুরু করলাম।

আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষের সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব 

আপনার তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী? মারের বদলা মারে কোনও ফায়দা হয়েছে আপনাদের?

তৃণমূল লাগাতার বিজেপি কর্মীদের ওপর আক্রমন, মারধর, খুনোখুনি করছে। এখন পর্যন্ত গত সাত মাসে ৪০ জন কর্মী খুন হয়েছেন। একসঙ্গে ১০ হাজার বিজেপি কর্মীকে কেস দেওয়া হয়েছে। ১ হাজার লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জামিন করতেই লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। দেড় হাজার বাড়ি ভেঙেছে। সাড়ে তিন হাজার লোক ঘর ছাড়া। পঞ্চায়েতে জয়ী ২,১০০ প্রার্থীকে বাইরে রাখতে হয়েছে। এই যে রাজনৈতিক পরিমন্ডল, রাজনৈতিক হিংসা, তার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। আমি এই কথা বলার জন্য আমাদের কর্মীরা মনে জোড় পান। তাঁরাও চাইছেন এই ভাবে অ্যাটাক করি। কারও পছন্দ হোক বা না হোক, আমি আমার দল ও কর্মীদের প্রয়োজনে এই ধরনের হার্ড লাইন নিয়েছি।

এতে দলের সাংগঠনিক লাভও হয়েছে। কোচবিহারে এত বড়ো মন্ত্রী রবি ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে যুবরা মিছিল করে বলছে, রবি ঘোষের চামড়া গুটিয়ে দেব আমরা। দিলীপ ঘোষের কথা আসছে না। রবি ঘোষের কথা আসছে। কে বলছে? তৃণমূলের লোকেরা। ওটা পার্টি নয় একটা গ্যাং, মাফিয়া গ্যাং। তোলো, খাও।

মারের পাল্টা মার। আপনি যখন ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন, তখনও এই মন্তব্য করেছিলেন। গোপীবল্লভপুরের একটি ঘটনায় নির্বাচন কমিশন আপনাকে নোটিশ দিয়েছিল।

গোপীবল্লভপুরে নির্বাচনের আগে প্রচারে আমাদের সভায় মাফিয়ারা হামলা করেছিল। যারা গরু পাচার করে, তারা। আমি যদি ওই কথা না বলি তাহলে আমাদের কর্মীরা লড়তে পারবেন না। তাই ৫৫ হাজার ভোট পেয়েছিলাম নয়াগ্রামে। আমার কেন্দ্রে আমি জিতেছিলাম। এই সংঘর্ষের রাজনীতি পশ্চিমবাংলায় নতুন নয়, কমিউনিষ্টরা যেদিন থেকে এসেছে, সেদিন থেকে হিংসার রাজনীতি শুরু হয়েছে। তাদের আমলে ৪৫ হাজার লোক মারা দিয়েছে। তৃণমূলের আমলেও সেরকম খুনোখুনি চলেছে। আমি যদি শান্তিপ্রিয় গান্ধিবাদী হিসাবে রাজনীতি করি, আমাদের কেউ স্বীকার করবে না।

বলতে আরম্ভ করেছি বলে আজ মিডিয়া আমাকে গ্রহণ করেছে। আমাদের কর্মীরা ময়দানে নামছেন। আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩৮ হাজার প্রার্থী দিলাম। কংগ্রেস, সিপিএম যারা ৬০ বছর রাজত্ব করেছে, তারা প্রার্থী দিতে পরেনি। জিতেওছি ৭ হাজার। তার কারণ আমরা হার্ড লাইন নিয়েছি।

আরও পড়ুন-‘এমনও তো হতে পারে, মমতাকে জেলে যেতে হল’

ধর্মতলায় আমডাঙ্গার আক্রান্তদের সমর্থনে সিপিএম যে সভার আয়োজন করেছিল, সেখানে সূ্র্যকান্ত মিশ্র ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, আমডাঙ্গার ঘটনায় তাঁদের কর্মীরা যেন বিজেপিতে ভিড়ে না যান। কী এমন হয়েছে যে এমন বলছেন সূর্যবাবু?

আমডাঙ্গায় যাঁরা জিতেছেন তাঁরা সিপিএমে আছেন কোথায়? তাঁরা তো আমার শেল্টারে আছেন। তাঁদের আশ্রয়ও দিতে পারেনি সিপিএম। যেতে পারেনি সেখানে। সংঘর্ষ হচ্ছে। ওখানে সিপিএম, টিএমসির লড়াই। আমাদের মাত্র একটা সিট, তাও সংখ্যালঘু। যাঁরা জিতেছেন তাঁরা দুদিকেই সংখ্যালঘু। সিপিএমের জেতা প্রার্থী, ওদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। তাঁরা আমাদের এই রাজ্য অফিসে এসেছেন। শুধু তাই নয়, আমাদের দলে যোগ দিতে চেয়েছেন। আমি বলেছি, আপনারা সংকটে আছেন, এই সুযোগে আপনাদের হাতে ঝান্ডা দেব না। আগে আপনাদের সুরক্ষা দেব, শেল্টার দেব, কেস লড়ব। আমরা ওদের হয়ে মামলা লড়ছি। জয়ী ১১ জন আমাদের শেল্টারে আছেন, সিপিএমের হাতে নেই। আর যেদিন আপনারা শান্তিতে থাকবেন, প্রধান হবেন, বোর্ড গঠন করবেন, সেদিন যদি মনে করেন বিজেপি করবেন, সেদিন আমি ঝান্ডা দেব। সিপিএম বড় বড় কথা বলছে।

দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গে বিজেপির শক্তি বেশি। সে আলিপুরদুয়ার হোক, বা জলপাইগুড়ি, বা বালুরঘাট। সাধারণ মানুষের কথা অনুযায়ী, ওই সব কেন্দ্রে লড়াই হবে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের। সেখানে দক্ষিণবঙ্গে বিজেপির সংগঠন অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। কেন?

উত্তরবঙ্গে আমাদের ফল সবসময় ভাল ছিল। লোকসভার ভোট বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যাবে। সারা রাজ্যে আমরা পেয়েছিলাম ১৭ শতাংশ ভোট। কিন্তু উত্তরবঙ্গে ১৯ শতাংশ ভোট ছিল। উত্তরবঙ্গে সংঘর্ষ কম। ঝামেলাও কম। সেখানে তৃণমূলের শক্তিও কম ছিল। এখন মারপিট করে বাড়াচ্ছে। ভোট হলে এখানেও ভাল ফল হবে। যেমন পুরুলিয়ায় হয়েছে। ৪০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পেয়েছি। ওখানে কিন্তু পাইনি। ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, উত্তর নদিয়ায় ভাল হয়েছে। যেখানে ভোট করাতে পেরেছি সেখানে ফল ভাল হয়েছে। সারা পশ্চিমবাংলায় সমান পরিবর্তন হচ্ছে। কোথাও বোঝা যাচ্ছে, কোথাও বোঝা যাচ্ছে না।

জেলায় জেলায় আইন অমান্য, সভা সমাবেশ হচ্ছে। কিন্তু রাজ্য স্তরে বড় জনসভা ক্রমশ পিছোচ্ছে। রথ রথ করে কোনও বড় কর্মসূচি নিতে পারছে না রাজ্য বিজেপি। এমনকী ব্রিগেড নিয়েও বারে বারে তারিখ বদলাতে হচ্ছে। কেন?

আমরা ভেবেছিলাম ৩ জানুয়ারি একটা বড় বিক্ষোভ কর্মসূচি করব। আমাদের রথ বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের কোনও প্রোগ্রাম করতে দিচ্ছে না। কিন্তু মানুষের যে আবেগ, উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে হবে। মানুষকে বার্তা দিতে হবে। জেলায় জেলায় আইন অমান্য প্রতিবাদ সভা হচ্ছে। আমরা সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা করেছি তার শুনানির কথা রয়েছে ২,৩ ও ৪ তারিখে। সেইসময় সভা করলে তার এফেক্ট পড়বে। মামলার ফলাফল কী হবে জানা নেই। তাই আপাতত স্থগিত করেছি। জানুয়ারির শেষে বা ফেব্রুয়ারিতে ব্রিগেড করার চিন্তাভাবনা আছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতির তারিখ ফাইনাল হলেই ময়দানে নেমে যাব। এখনও তারিখ চূড়ান্ত হয়নি।

বাঙালী মুসলিমদের দলে টানার জন্য বিজেপির কী পরিকল্পনা রয়েছে? এরাজ্যের রাজনীতিতে এই ভোট যে একটা বড় ফ্যাক্টর তা নিয়ে সন্দেহ নেই। এই ভোট পেতেই রাজনৈতিক দলগুলো নানা কৌশল অবলম্বন করে।

এতিদন বাঙালী মুসলিমদের ভয় দেখানো হচ্ছিল। এবং উর্দুভাষী নেতা তাঁদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। এরাজ্যে উর্দুভাষী মুসলিম ৫ শতাংশও নেই। তাঁরা বাংলার তামাম মুসলিমদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এটা ঠিক নয়। বাঙালী মুসলিমরা শিক্ষাদীক্ষায় এদিককার। হয়ত তাঁরা আর্থিক দিক দিয়ে পিছিয়ে আছেন। তাঁদের সামনে নিয়ে আসতে হবে, তা নাহলে মুসলমানদের উন্নতি হবে না। আমাদের সেই নেতৃত্বকে সামনে নিয়ে এসেছি। এটা স্বীকৃত হওয়ার পরে বিজেপির দিকে আসার একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মুসলিম সামাজের মধ্যে। একাধিক জেলা স্তরের নেতা বিজেপিতে এসেছেন। সফলভাবে কাজ করছেন। হাজার হাজার সংখ্যালঘু লোক নিয়ে জেলায় জেলায় সম্মেলন করছে দলের সংখ্যালঘু মোর্চা।

সত্যিই কি সংখ্যালঘুদের মধ্যে পরিবর্তন আসছে?

অন্যান্য রাজ্যে বিজেপি রাজত্ব করেছে। এটা ওঁরা দেখেছেন। সেই সব রাজ্যে সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন দেখেছেন। এদেশে মুসলিমরা সব থেকে সুরক্ষিত বিজেপি শসিত রাজ্যে। তাও তাঁরা লক্ষ্য করেছেন। তৃণমূলের রাজ্যে দাঙ্গা হয়, অন্য রাজ্যে দাঙ্গা হয় না। এটাও প্রমাণিত। পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমরা শিক্ষায়, সংস্কৃতিতে ও আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে যাচ্ছেন। মুসলমানদের বিজেপির ভয় দেখিয়ে ভোট নেওয়া যায়। তাতে মুসলমানদের কোনও উন্নতি করা যায় না। বিজেপিই উন্নতি করে।

আরও পড়ুন- ‘ঋতব্রত একটা না দুটো মহিলার সঙ্গে ফূর্তি করেছে, আর কী করে ভালবাসব?’

সামনের লোকসভা নির্বাচনে এরাজ্যে বিজেপি কি মুসলিম প্রার্থী দেবে? ৪২ জনের মধ্যে কতজন মুসলিম প্রার্থী থাকতে পারেন?

মুসলিম প্রার্থী থাকতে পারেন, তবে এখনও ঠিক নেই। যাঁর জয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রেখে নির্বাচনে প্রার্থী চয়ন করা হয়। পশ্চিমবাংলায় যা পরিস্থিতি, মুসলিম ভোট নিয়ে মুসলিম প্রার্থী জিতবেন সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। তবে এগোচ্ছে। কাল কী হবে কেউ জানে না। ভোট ঘোষণার পর প্রার্থী নিয়ে ভাবা হবে। হবেও হয়তো। সংখ্যালঘুদের প্রার্থী করা হতেই পারে। তবে এখনও ঠিক হয়নি। কতজন হবে তাও ঠিক হয়নি।

আপনাদের দলে শোনা যায় দিলীপ ঘোষের একটা গোষ্ঠী, মুকুল রায়ের পৃথক গোষ্ঠী। দলে এই কোন্দল বোঝা যায় বাইরে থেকে। এই গুঞ্জন নিয়ে কী বলবেন?

রাজনীতিতে একটা 'মাইন্ডসেট' আছে। কারণ, কংগ্রেসের রাজনীতি আমরা গোড়া থেকে দেখে এসেছি। যতজন নেতা, ততগুলো গোষ্ঠী। মানুষের মাথায় ওগুলো ঢুকে আছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরেও সেটা বলার চেষ্টা করা হয়। আদৌ আছে কী কোনও গোষ্ঠী? সেইরকমই। আমি জানি না। আমার কোনও গোষ্ঠী নেই। আমি দলের সভাপতি, সবাইকে নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি। কেউ যদি সঙ্গে চলতে না পারেন, তিনি আলাদা আছেন, কিন্তু গোষ্ঠী না। পার্টির আইডিওলজি, নিয়ম শৃঙ্খলা আছে, তার মধ্যে সবাই কাজ করছেন। বাইরে থেকে তুলনা করে খুশি হন কেউ কেউ। এই চিন্তাটা বাস্তব নয়।

বিজেপির অন্দরে অনেক সময় চর্চা চলে, দিল্লিতে গিয়েও অমিত শাহর দেখা পাননি দিলীপ ঘোষ। অমিত শাহ কী সত্যিই আপনার সঙ্গে দেখা করেন না?

আমি আজ পর্যন্ত অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করতে যাইনি। আমি ফোনও করি না অমিত শাহকে। জানি না অন্য রাজ্যের সভাপতিরা কী করেন। দিলীপ ঘোষের প্রয়োজন হয় না। আমরা চাইতে না চাইতে নেতারা এখানে আসেন। তিনদিন ধরে বৈঠক করেন। কী করতে হবে বোঝা যায়। আমি সেটা করছি যার দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। পছন্দ না হলে আমাকে সরিয়ে দিতেন।

আমার তিন বছর পূরণ হয়ে গিয়েছে সভাপতিত্বের। ডিসেম্বরের ১১ তারিখ তিন বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এটা নির্বাচনের বছর, তাই কমিটি পরিবর্তন করা হবে না। আরো এক বছর এই কমিটি চলবে। পার্টি মনে করেছে সফলভাবে তিন বছর চালিয়েছি। পার্টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পার্টি যদি মনে করত আমাকে সরিয়ে অন্য কাউকে দায়িত্ব দিতে পারত। এখনও পারে। তা নিয়ে কোনও চিন্তা নেই। পার্টি একটা দায়িত্ব দিয়েছে, সেটা পালন করছি আমার যোগ্যতা অনুযায়ী। কী করতে পেরেছি সেটা দলের নেতারা ঠিক করবেন। সাধারণ মানুষ ঠিক করবেন।

dilip ghosh bjp
Advertisment