Advertisment

বিজেপির পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত ফড়নবীশ

পদ্ম শিবিরের এই নির্বাচন প্রক্রিয়াকে জোটসঙ্গী শিবসেনার উপর পাল্টা চাপ তৈরির কৌশল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বিজেপির পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত ফড়নবীশ

সরকার গড়তে শরিক শিবসেনার সঙ্গে টানাপোড়েন অব্যাহত। তারই মাঝে বুধবার পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচন করে ফেললো বিজেপি। দেবেন্দ্র ফড়নবীশকেই ফের পরিষদীয় দলের নেতা বাছলো গেরুয়া শিবির। পর্যবেক্ষক হিসাবে নেতা নির্বাচনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার, বিজেপির সহ সভাপতি অবিনাশ রাই খান্না। পরিষদীয় নেতা নির্বাচনের পর ফড়নবীশ শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেকে ধন্যবাদ জানান। পদ্ম শিবিরের এই নির্বাচন প্রক্রিয়াকে জোটসঙ্গী শিবসেনার উপর পাল্টা চাপ তৈরির কৌশল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

Advertisment

মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি দখল নিয়ে ক্রমশই জটিল হচ্ছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। মঙ্গলবারই মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য শিবসেনার ৫০-৫০ ফর্মুলাকে কার্যত ‘বাতিল’ করে দেবেন্দ্র ফড়নবীশ বলেন, আগামী পাঁচ বছরের জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে তিনিই থাকতে চলেছেন। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে এমনটাই জানিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের আগে আনুষ্ঠানিকভাবে জোট করা হলেও সেখানে আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রী পদ দেওয়ার কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি শিবসেনাকে।” তবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট শিবসেনা যে আগামী পাঁচ বছরের জন্য মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিশ্চিত করবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত দেবেন্দ্র ফড়নবীশ।

আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে কংগ্রেসকে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে চাপ বামেদের

অনড় বিজেপিকে বাগে আনতে এর আগে হুমকির সুরে বিকল্প পথে সরকার গঠনের কথা বলেছিল শিবসেনা। ক্ষমতার স্বাদ পেতে শরদ পাওয়ার কী সেনা শিবিরের সঙ্গে জোট গড়বেন? এই জল্পনা যখন তুঙ্গে, তখন তাকে আরও উস্কে দিল এনসিপির বুধবারের পরিষদীয় নেতা নির্বাচন বৈঠক।

উল্লেখ্য, ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটে জোট বেঁধে লড়াই করেছে বিজেপি-শিবসেনা। যার মধ্যে ১৫০টি আসনে লড়ে ১০৫টি আসন পেয়েছে বিজেপি। শিবসেনার দখলে ৫৬টি আসন, যেখানে সরকার গঠনে প্রয়োজন ১৪৫। ফলে জোট ছাড়া কোনওভাবেই সরকার গড়তে পারবে না বিজেপি। আর সেই সুযোই ভোটের পর কাজে লাগাতে মরিয়া শিবসেনা। গত সপ্তাহেই শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে বিজেপিকে ৫০-৫০ ফর্মুলা ভাগাভাগির সূত্র মনে করিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, “অমিত শাহকে আসতে হবে। রাজ্য নেতাদের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন না। জোট হয়েছিল ৫০-৫০ ক্ষমতার বণ্টনের ভিত্তিতে। সেই কথা রাখার সময় এসে গিয়েছে। আলোচনার পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”

Read the full story in English

bjp
Advertisment