'মমতা ও মোদী, দুই সরকারের নীতিই কৃষক বিরোধী'

সিপিএমের কৃষক শাখার আয়োজিত এই সমাবেশে প্রায় ১০,০০০ কৃষক যোগ দেন। এদিকে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বামপন্থীরা আশানুরূপ পরিবর্তন আনতে পারবে বলেই আশা রাখেন ধাওয়ালে।

সিপিএমের কৃষক শাখার আয়োজিত এই সমাবেশে প্রায় ১০,০০০ কৃষক যোগ দেন। এদিকে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বামপন্থীরা আশানুরূপ পরিবর্তন আনতে পারবে বলেই আশা রাখেন ধাওয়ালে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সারা ভারত কিষাণ সভার নেতা অশোক ধাওয়ালে ও সাধারণ সম্পাদক অজিত নাভালে। এক্সপ্রেস ফোটো- প্রশান্ত নাদকর।

রাজ্য ও কেন্দ্র উভয় সরকারের তৈরি যোজনাই কৃষকদের স্বার্থের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে এক সভায় একথা বলেন সারা ভারত কিষাণ সভার সভাপতি অশোক ধাওয়ালে। এদিন শিলিগুড়ির সমাবেশে কৃষকদের জন্য ম্যাক্সিমাম সেলিং প্রাইস বাড়ানোর ও তাদের ঋণ মুকুব করে দেওয়ার দাবী করেন ধাওয়ালে।

Advertisment

তিনি বলেন, "নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কৃষকদের দুরবস্থা ঘোচাতে কোনও রকম উদ্যোগ নিচ্ছে না। সরকারের জমি ও ফসল যোজনা নীতি সবটাই কৃষক শ্রেণীর বিরুদ্ধে। মধ্যস্থতাকারীরা সমস্ত লাভ নিয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন, এমনকি বহু চাষী আত্মহত্যাও করছেন। আজ এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ও সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।"

আরও পড়ুন, ফসল বীমা যোজনা নিয়ে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কেন্দ্র: মমতা

সিপিএমের কৃষক শাখার আয়োজিত এই সমাবেশে প্রায় ১০,০০০ কৃষক যোগ দেন। এদিকে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বামপন্থীরা আশানুরূপ পরিবর্তন আনতে পারবে বলেই আশা রাখেন ধাওয়ালে। তিনি আরও বলেন, "এর আগেও সিঙ্গুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত লং মার্চে প্রায় ২৫,০০০ কৃষক যোগ দিয়েছিলেন। দ্য বেঙ্গল প্ল্যাটফর্ম অফ মাস অরগানাইজেশন বা বিপিএমও শিল্পের দাবীতে সমাবেশের আয়োজন করেছিল। সাধারণ মানুষ ও শ্রমিকরা আবারও বামেদের ওপরে আস্থা রাখছেন, তাদের সঙ্গে পদযাত্রায় সামিল হচ্ছেন। বাংলায় একটা পরিবর্তন আসতে চলেছে এবং ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনেই তার ছাপ পড়বে।"

Advertisment

Read the full story in English 

PM Narendra Modi Mamata Banerjee