তাঁর বক্তব্য, “কেন্দ্র আমাদের কাছ থেকে কর নেয় এবং সেখান থেকেই সামান্য অংশ ফেরৎ দেয়। কৃষকদের জন্য একটা ফসল বীমা যোজনা আছে। কেন্দ্র সেখানে কত টাকা দেয়? কেন্দ্রীয় সরকার মাত্র ২০ শতাংশ দেয়, বাকি ৮০ শতাংশ দিই আমরা। আমরা যদি ৮০ শতাংশ দিতে পারি, বাকিটাও দিতে পারব। আমাদের কেন্দ্রের অনুদানের প্রয়োজন নেই। আমরা ব্যাঙ্কে টাকা দিয়েছি আর কেন্দ্র সেটার জন্য বাহবা নিচ্ছে এবং মিথ্যে প্রচার করছে।”
আরো পড়ুন: ‘দক্ষিণেশ্বর মন্দির তৈরির সময় বিজেপি জন্মেছিল?’
”কৃষকদের দুর্দশার দিকে নজর দিচ্ছে না সরকার,” কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করে এদিন মুখ্যমন্ত্রী দাবী করেন, রাজ্য সরকার ধানের ওপর ম্যাক্সিমাম সেলিং প্রাইস (এমএসপি) বাড়ানো সহ কৃষকদের অনেক সাহায্য করছে। মমতা বলেন, ”কৃষিজমির ওপর আমরা মিউটেশন ফি ও খাজনা কর নিই না। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য কৃষকদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিই। রাজ্য সরকার কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি কুইন্টাল ১,৭৫০ টাকায় চাল কিনছে (গত বছর ছিল প্রতি কুইন্টালে ১,৫৫০ টাকা)। ধান দিন, চেক নিন-এর মতো নতুন নিয়ম করেছি। এমনকি অভ্যন্তরীন বহু এলাকায় ক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।”
আরো পড়ুন: জমি কেনা বেচার মিউটেশন এখন থেকে হবে অনলাইনে
মমতার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, ”রাজ্য সরকার এখানকার কৃষকদের জন্য কিচ্ছু করেনি। শুধুমাত্র কৃষকদের জন্য অনেক কিছু করেছি বলা ছাড়া আর কোনও কাজই এগোয়নি।”
এর আগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও দলিতদের ওপর বিজেপির অত্যাচারের তীব্র সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগণায় নিহত তিন তৃণমূল কর্মীর পরিবারকে সরকারি চাকরি দেওয়ার কথাও ঘোষনা করেন।
Read the full story in English