অবিলম্বে জম্মু-কাশ্মীরে বন্দি তিন মুখ্যমন্ত্রীদের মুক্তি দিতে হবে। সোমবার বিবৃতি দিয়ে এই দাবি করলেন তৃণমূল নেত্রীর তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাকে সমর্থন জানিয়েছেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। তিন নেতার মুক্তির দাবিতে সরব হন জেডিএস প্রধান এইচডি দেবগৌড়। সীতারাণ ইয়েচুরি. ডি রাজা, আরজেডির মনোজ ঝাঁ এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহাও যৌথ বিবৃতিকে সমর্থন করেছেন।
বিবৃতে বলা হয়ে যে, 'গত ছয় মাসের উপর বন্দি রয়েছেন ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা ও মেহেবুবা মুফতি। সরকারের এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বিরোধী । ব্যক্তি স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী পদক্ষেপ। নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিরোধী কণ্ঠরোধের চেষ্টা। খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, ভারতের মতো একটা গণতান্ত্রিক দেশে এই ধরনের কাণ্ড ঘটছে৷ কবে থামবে?'
আরও পড়ুন: ফের প্রকাশ্যে বন্দি ওমর আবদুল্লার ছবি
সরকার পক্ষ সংসদে জানিয়েছে যে জম্মু-কাশ্মীরের অবস্থা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। সম্প্রতি সেখানে ঘুরে এসেছেন ১৫ দেশের রাষ্ট্রদূতেরা। এইসব আসলে মোদী সরকারের সাজানো বিষয় বলেও কটাক্ষ করেন বিরোধী দলগুলো। দেশের বিরোধী নেতাদের কেন সেখানে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।
ফারুক আবদুল্লা, জম্মু-কাশ্মীরের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ওমর-সহ আরও বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী, আইনজীবী ও ব্যবসায়ীকে গৃবন্দি করে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ ধারা ১০৭-এ তাঁদের বন্দি করে রাখা হয়েছে৷ এই ধারায় বলা হয়েছে, জনসাধারণে শান্তি ভঙ্গ করতে পারে, কোনও ব্যক্তি সম্পর্কে এরকম তথ্য পাওয়া গেলে, তাঁকে ৬ মাস বন্দি করে রাখা যাবে৷ এই আইনকে আদতে পাবলিক সেফটি আইন বলা হয়৷ গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে এই আইনে ফারুক আবদুল্লাহকে গৃহবন্দি রাখা হয়েছে৷
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন