চেয়ারম্যান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত কালনা। শপথ গ্রহণের পরই ভোটাভুটির দিন দলের বাছাই করা চেয়ারম্যানে আপত্তি তুলেছেন তৃণমূলেরই ১২ জন কাউন্সিলর। দল মনোনিত আনন্দ দত্তের বদলে তপন পোড়েলকে চেয়ারম্যান করার দাবি জানান তারা। এখানেই শেষ নয়, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের সামনেই পুরসভা ভবনে আনন্দ দত্তর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান ওই ১২ জন কাউন্সিলর। চরম উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনিল বসু। পুরসভা অফিসের দোতলা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার হুমকি জেন এই কাউন্সিলর।
এই পরিস্থিতি ঘিরে শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকট হয়ে পড়ে। অস্বস্তি বাড়ে তৃণমূলের। প্রকাশ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তাঁর কথায়, 'যাঁরা দলের নির্দেশ মানছে না তাঁরা দলবিরোধী কাজ করছে ধরে নেওয়া হবে। দল এঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে। বিক্ষুব্ধরা আমাকে সকাল থেকে বলেছিল যে দলীয় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীকেই ভোট দেবেন। কিন্তু, বেলা বাড়তেই অন্য কথা বলছেন।' উল্লেখ্য, চেয়ারম্যান নির্বাচন ঘিরে এ দিন সকাল থেকেই কালনায় ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
আরও পড়ুন- রাজ্য রাজনীতিতে নয়া মডেল ‘খড়ার’! পদ্মের সমর্থনে জোড়া-ফুলের চেয়াম্যান
অবস্থা ক্রমেই খারাপের দিকে এগোতে থাকে। এর মধ্যেই কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন প্রক্রিয়া বাতিল বলে ঘোষণা করা হয় রাজ্যের তরফে। মহকুমা শাসককে দেওয়া রাজ্যের নির্দেশিকায় উল্লেখ রয়েছে যে, পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন চেয়ারম্যান নির্বাচন প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে কালনার আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। ফলে আজ বোর্ড গঠন বাতিল করা হোক।
শুধু কালনাই নয়, এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের খাড়ার পুরসভাতেও চেয়ারম্যান নির্বাচন ঘিরে তৃণমূলের কোন্দল সামনে এসেছে। দলের মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সন্ন্যাসী মণ্ডলের বদলে বিজেপির সমর্থনে ভোটাভুটি জেতেন তৃণমূলেরই অদ্যুৎ মণ্ডল। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, এই পুরসভাতেও নির্দিষ্ট সময়েই অনাস্থা আনা হবে।