কর্নাটকের পর এবার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ধাক্কা খেল কংগ্রেস-জোট। মঙ্গলবার এনসিপির ৩ এবং কংগ্রেসের ১ বিধায়ক স্পিকার হরিভাউ বাগদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। সূত্রের খবর, এনসিপির বৈভব পিচাদ, সন্দীপ নায়েক, শিবেন্দ্র রাজে এবং কংগ্রেসের কালিদাস কোলম্বকর নামে ওই ৪ বিধায়ক আগামীকাল বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাতেই এনসিপির মুম্বই ইউনিটের নেতা শচীন আহির দল ছেড়ে শিবসেনায় যোগ দিয়েছেন। এনসিপির মহিলা শাখার দলনেত্রী চিত্রা ওয়াঘও দল ছেড়েছেন। সূত্রের খবর, তিনিও বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। বিজেপি-শিবসেনা জোটের দল ভাঙানোর রাজনীতির বিরোধিতায় সরব হয়েছেন এনসিপির রাজ্যস্তরের নেতা জয়ন্ত পাটিল, এমএনএস নেতা রাজ ঠাকরে, কৃষক নেতা রাজু শেটঠি।
আরও পড়ুন, রাহুলের জায়গায় কে, শশীর পর এবার সরব অমরিন্দর
সম্প্রতি বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী গিরিশ মহাজন দাবি করেন, অন্তত ৫০ জন এনসিপি এবং কংগ্রেস নেতা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। মহাজনের কথায়, "প্রায় ৫০ জন কংগ্রেস এবং এনসিপি বিধায়ক আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়ে আবেদন করেছেন। চিত্রা ওয়াঘের মতো প্রবীণ নেত্রীও তাঁর পুরনো দল এনসিপিতে আর থাকতে চাইছেন না। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই অত্যন্ত দুর্বল, এনসিপি-ও ক্রমশ দুর্বল দলে পরিণত হচ্ছে।"
এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার এদিনই বিজেপির বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে বিজেপি বিরোধী বিধায়কদের কিনতে চাইছে। তাঁর কথায়, "বিজেপি সর্বত্র দল ভাঙানোর খেলা শুরু করেছে। কর্নাটকে সরকার ফেলে দেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রদেশেও একই রকমের অপচেষ্টা শুরু হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহারের এমন নজির আগে কখনও দেখা যায়নি।"
পাওয়ারের অভিযোগ প্রত্যাশিত ভাবেই উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। তাঁর কথায়, "কেন বিধায়কেরা তাঁর দলে থাকতে চাইছেন না, তা বুঝতে শরদ পাওয়ারের আত্মসমীক্ষা করা উচিত। বিজেপি শক্ত জমির উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমাদের কারও দল ভাঙানোর প্রয়োজন নেই।"
Read the full story in English