কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যেদিন আহমেদাবাদে রণকৌশল ঠিক করতে বৈঠকে বসেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই দিনই কংগ্রেসি সংস্কৃতিকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন, কংগ্রেসি সংস্কৃতি হল গান্ধী চিন্তাধারার 'অ্যান্টি-থিসিস'। ১৯৩০ সালের ডান্ডি মার্চ বা লবণ আন্দোলনের বার্ষিকী উদযাপন করতে গিয়ে মোদী একথা বলেন। তিনি বলেন, কংগ্রেস এখন আগে পরিবারতন্ত্রে বিশ্বাসী, যদিও গান্ধী রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে ছিলেন।
আরও পড়ুন, বিরোধীদের ‘দেশদ্রোহী’ বলার অর্থ তাঁদের বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া, বিজেপিকে তোপ শিবসেনার
"একমুঠো লবণ যখন একটি সাম্রাজ্যকে নাড়িয়ে দিল," এই শীর্ষক এক ব্লগে মোদী কংগ্রেসকে নিরাসক্তি, গণতন্ত্র এবং সাম্যের গান্ধীবাদী নীতি থেকে বিচ্যুতির দায়ে অভিযুক্ত করেছেন। মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই ব্লগে মোদী লিখেছেন, "গান্ধীজি কংগ্রেসি সংস্কৃতিকে খুব ভাল বুঝেছিলেন, সে কারণেই তিনি বিশেষত ১৯৪৭ সালের পর কংগ্রেস ভেঙে দিতে চেয়েছিলেন।"
ব্লগের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন ডান্ডি মার্চের পরিকল্পনায় সর্দার প্যাটেলের অন্যতম ভূমিকার কথা। উল্লেখ্য, গান্ধী যখন ডান্ডি মার্চের পরিকল্পনা করছিলেন, তখন তাঁকে নিরস্ত করার উদ্দেশ্যে ১৯৩০ সালের ৭ মার্চ সর্দার প্যাটেলকে গ্রেফতার করে ইংরেজ সরকার। প্যাটেল তখন গান্ধীর ডান্ডি মার্চ ঠিক কোন পথ দিয়ে যাবে তার ছক তৈরি করছিলেন।
মোদীর ব্যাখ্যা, "সাংগঠনিক মানুষ সর্দার প্যাটেল ডান্ডি মার্চের প্রতিটি মিনিটের পরিকল্পনা করেছেন, শেষতম খুঁটিনাটিও লিখে রেখেছেন। এবং, ব্রিটিশরা সর্দার সাহেবকে এত ভয় পেয়েছিল, যে ডান্ডি মার্চের কয়েকদিন আগে গান্ধীজিকে ভয় দেখানোর জন্য তাঁকে গ্রেফতার করে। তবে তারা সফল হয়নি। উপনিবেশ-বিরোধী যুদ্ধই সবকিছুর ওপরে স্থান পেয়েছে।”
এপ্রিল-মে মাস জুড়ে দেশে যে সাধারণ নির্বাচন হতে চলেছে, তাতে বিজেপির মূল মুখ নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, গত পাঁচ বছর ধরে তাঁর সরকার সমস্ত ক্ষেত্রে মহাত্মা গান্ধীর শিক্ষা মেনে চলেছে। "গান্ধীজি আমাদের শিখিয়েছেন, দরিদ্রতম মানুষের কষ্টের কথা ভেবে সেই অনুযায়ী আমাদের কর্মপদ্ধতি স্থির করতে। আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, সমস্ত ক্ষেত্রে আমাদের সরকার দারিদ্র্য দূর করতে এবং উন্নতি আনতেই কাজ করে গেছে"।
মোদী লিখেছেন, "সৌভাগ্যজনকভাবে কেন্দ্রে আমাদের এমন একটি সরকার রয়েছে যে তারা বাপুর রাস্তায় চলছে এবং একটি জনশক্তি ভারতকে কংগ্রেস মুক্ত করার স্বপ্ন সত্যি করে চলেছে।"
মোদীর কথা মত, কংগ্রেস দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে গেছে আর তাঁর সরকার দুর্নীতিগ্রস্তদের শাস্তি দেওয়ার জন্য সর্বতোভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে। ”আমরা দুর্নীতিগ্রস্তদের শাস্তি দেওয়ার সমস্ত চেষ্টা করে চলেছি। কিন্তু জাতি দেখেছে, কংগ্রেস এবং দুর্নীতি কীভাবে সমার্থক হয়ে গেছে।”
Read the Full Story in English