রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে সনিয়া গান্ধীর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার জন্য নেহেরু-গান্ধী পরিবারের পছন্দ। কিন্তু, তাই বলে কংগ্রেসের শীর্ষ পদের জন্য প্রতিযোগিতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সূত্রের খবর, ৭১ বছর বয়সি গেহলট গান্ধীদের সুস্পষ্ট সমর্থন নিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেও কংগ্রেসের প্রবীণ নেতাদের নিয়ে তৈরি G-23 তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রার্থী দিতে পারে।
এই পদে নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে, বুধবারই কংগ্রেস ঘোষণা করেছে যে দলের সভাপতি নির্বাচনের তারিখের সঠিক সময়সূচি অনুমোদনের জন্য রবিবার ওয়ার্কিং কমিটি (সিডব্লিউসি) একটি বৈঠক করবে। রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ভদঢ়ার সঙ্গে মেডিক্যাল চেকআপের জন্য নিউইয়র্কে থাকা সনিয়া গান্ধীও এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন। তিনিই ডিজিটাল মাধ্যমে বৈঠকের সভাপতিত্বও করবেন।
দলের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের সঙ্গে সনিয়া গান্ধী দেখা করার একদিন পরেই সিডব্লিউসির বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। রাহুল নেতৃত্বে ফিরতে আগ্রহী না-হওয়ায়, সোনিয়া রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীকে দলের নেতৃত্ব দিতে বলেছেন। গেহলট অনিচ্ছুক বলে জানা গেছে, কারণ তাঁকে দলীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হতে পারে। যদিও গান্ধী পরিবার মনে করছে, দলের সভাপতি পদে গেহলটই মানানসই।
আরও পড়ুন- কংগ্রেসের দায়িত্ব নিতে অশোক গেহলটকে প্রস্তাব সনিয়ার! শোরগোল হতেই মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী
সেই হিসেবে দীর্ঘ প্রায় আড়াই দশক পরে নেহরু-গান্ধি পরিবারের ছত্রছায়ায় থাকলেও সরাসরি শাসনমুক্ত হতে চলেছে কংগ্রেস। বড় বিপর্যয় না-হলে গেহলট দলের সভাপতি হওয়ার পর রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন শচীন পাইলট। এতে রাজস্থান কংগ্রেসে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কিছুটা হলেও মিটবে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে দীর্ঘদিনই গেহলটের সঙ্গে পাইলটের একটা দ্বন্দ্ব চলছিল।
পাশাপাশি, বিরোধীদেরও একটা কড়া জবাব দিতে পারবে কংগ্রেস। কিছুদিন আগেই স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের অনুষ্ঠানে (৭৫ বছর) প্রধানমন্ত্রী রাজনীতি থেকে ভাই-ভাতিজাতন্ত্র নির্মূল করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। গান্ধী পরিবারের বংশবদ গেহলট কংগ্রেস সভাপতি হলে, সেটা হবে মোদীর মুখের ওপর যোগ্য জবাব। সবচেয়ে বড় কথা গেহলটও মোদীর মতই ওবিসি সম্প্রদায়ের, অভিজ্ঞ এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির। পাশাপাশি, অতীতে বেশ কয়েকটি রাজ্য এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকায় সাংগঠনিক অভিজ্ঞতাতেও পরিপূর্ণ।
Read full story in English