পুরসভা দখলের লড়াইয়ে আবারও বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে টেক্কা দিল তৃণমূল। বনগাঁ, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, নৈহাটির পর এবার গারুলিয়া পুরসভা ‘পুনরুদ্ধার’ করল মমতা বাহিনী। লোকসভা ভোটের পর গারুলিয়া পুরসভার ১৯ জন তৃণমূল কাউন্সিলরই বিজেপিতে ভিড়েছিল। যার জেরে এই পুরসভা তাদের দখলে বলে দাবি করে গেরুয়াবাহিনী। এরপরই দুর্গ রক্ষা করতে আসরে নামে মমতা বাহিনী। বিজেপিতে চলে যাওয়া ১৯ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১৩ জন কাউন্সিলর ফের ফিরলেন তৃণমূলে। এই ‘ঘর ওয়াপসি’র ফলে গারুলিয়া পুরসভায় আবারও ঘাসফুল ফুটল বলে দাবি করেছে শাসক শিবির।
জানা যাচ্ছে, তৃণমূল কাউন্সিলরদের ঘরে ফেরার ফলে, এই মুহূর্তে গারুলিয়া পুরসভায় ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূলের হাতে রয়েছেন ১৩ জন কাউন্সিলর, বিজেপির ৭ জন ও ফরওয়ার্ড ব্লকের এক জন। সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল। গারুলিয়া পুরসভার পুরপ্রধান নির্বাচিত হয়েছেন সঞ্জয় সিং। যদিও এদিনের সভায় অংশ নেননি বিজেপির কোনও কাউন্সিলর।
আরও পড়ুন: অর্জুন-গড় হাতানোর হুঁশিয়ারি মমতা বাহিনীর, ভাটপাড়া পুনর্দখলের পথে তৃণমূল!
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে বিজেপির উত্থানের পর একদা মমতা সেনাপতি মুকুল রায়ের হাত ধরে নৈহাটি, হালিশহর, কাঁচরাপাড়া, ভাটপাড়ার মতো একের পর এক পুরসভা ‘দখল’ করে গেরুয়াশিবির। এরপরই নিজেদের দুর্গ বাঁচাতে উঠেপড়ে লাগে মমতা ব্রিগেড। মুকুল রায়কে রীতিমতো টেক্কা দিয়ে কাঁচরাপাড়া, বনগাঁ, হালিশহর, নৈহাটির মতো পুরসভা ‘পুনরুদ্ধার’ করে মমতা বাহিনী। ভাটপাড়া পুরসভাও ‘পুনর্দখলে’র হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূল। এই প্রেক্ষাপটে তৃণমূলের গারুলিয়া পুরবোর্ড দখল রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।