অশোক গেহলট আর শশী থারুর। একজন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। অন্যজন কংগ্রেস সাংসদ। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে এই দুই নেতা পরস্পরের মুখোমুখি হতে চলেছেন। একই দলের সৈনিক। তবে, এই দুই নেতা যেন দুই মেরুর বাসিন্দা।
গেহলট এখন ৭১। আর থারুরের বয়স ৬৬। একজনের অগাধ অভিজ্ঞতা। আর, অন্যজনের ভরসা পাণ্ডিত্য। একজনের অস্ত্র চাতুর্য। অন্যজনের ক্যারিশমা। কিন্তু, দুই নেতারই গুণাবলী এতটাই নির্ভরযোগ্য যে শতবর্ষপ্রাচীন দল, তাঁদের কাঁধে অনায়াসে ভরসা রাখতে পারে। গেহলট তাঁর পাঁচ দশকের অক্লান্ত পরিশ্রমে কংগ্রেসের সাংগঠনিক গোলকধাঁধা থেকে প্রথমসারিতে উঠে এসেছেন। থারুর কূটনীতিবিদের কাজ করতেন। প্রখ্যাত লেখক। তিন দশক ধরে রাষ্ট্রসংঘে কাজ করেছেন। তারপর কীভাবে যেন রাজনীতিতে ঢুকে পড়েছেন।
তাঁর ঘনিষ্ঠরা বলেন, গেহলট যত বড় বক্তা, তার চেয়েও বড় শ্রোতা। বিস্তর সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা। বাস্তবের রাজনীতিতে পথ মেপে উঠে এসেছেন। কংগ্রেসের রাজনৈতিক জটিলতার সঙ্গে গোড়া থেকে পরিচিত। দলের ছাত্র শাখা এনএসইউআইয়ের সভাপতি ছিলেন। রাজস্থান কংগ্রেসের প্রধান ছিলেন। দলের তরফে বেশ কয়েকটি রাজ্যের দায়িত্বে ছিলেন। কেসি বেণুগোপালের আগে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। দলের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী। এমন সময়ে সরকার চালিয়েছেন, যখন কংগ্রেসের বহু বিশিষ্ট নেতা দল ছেড়েছেন। অথবা দল ছাড়ার চেষ্টা করেছেন। শুধু কি তাই? পাঁচ বারের লোকসভা সাংসদ। রাজস্থান কংগ্রেসের নবীন ও প্রবীণ, উভয় প্রজন্মই তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
আরও পড়ুন- এমাসেই অবসর, ‘বীরচক্র’-এ সম্মানিত অভিনন্দন বর্তমানের স্কোয়াড্রন এবার বায়ুসেনার ইতিহাসে
পাশাপাশি, গেহলট দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তথা গান্ধী পরিবারের সঙ্গে কয়েক দশক ধরে কাজ করেছেন। ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, পিভি নরসিমহা রাও সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। সঞ্জয় গান্ধীর আস্থাভাজন ছিলেন। সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর রাজীব এবং সনিয়া গান্ধীর আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। আর, এখন রাহুল গান্ধীরও আস্থাভাজন। সেই হিসেবে গেহলট যেন দলের অতীত এবং বর্তমানের মধ্যে যোগসূত্র। দলের তৃণমূলস্তরে তাঁর গভীর সংযোগ রয়েছে। রাজস্থানে দলের জয়ের জন্য গেহলটের ওপর বারবার ভরসা রেখেছে কংগ্রেস।
Read full story in English