একক সিদ্ধান্তে নয়, সম্মিলিত সিদ্ধান্তেই এগোক কংগ্রেস, শুক্রবার সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে একথাই বলেছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে দলের ভরাডুবিতে আরও একবার গান্ধী পরিবারের নেতৃত্বের উপরেই অনাস্থা আনেন দলের বর্ষীয়ান নেতাদের একাংশ। বিশেষ করে কংগ্রেস জি-২৩ গোষ্ঠীর নেতারা দলের নেতৃত্বের প্রশ্নে গান্ধী পরিবাররে ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। এরপরই শুক্রবার কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন গুলাম নবি আজাদ।
ঘন্টাখানেক ধরে চলা বৈঠকে আজাদ কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির নির্বাচনের আহ্বান জনিয়েছেন। দলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় সুযোগ তৈরি করার কথাও জানিয়েছেন সোনিয় গান্ধীকে। এরই পাশাপাশি কংগ্রেসের সংসদীয় দলকে পুনরুজ্জীবত করতে উদ্যোগ নিতেও আবেদন জানিয়েছেন আজাদ। কীভাবে এটি করা যেতে পারে সেব্যাপারেও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আজাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন সোনিয়া। বৈঠকের পর আজাদ জানিয়েছেন, দলীয় নেতৃত্বে সোনিয়া গান্ধীর ভূমিকা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই।
উল্লেখ্য, গান্ধী পরিবার এবং কংগ্রেসের জি-২৩ গোষ্ঠীর নেতৃত্বের মধ্যে এটি ছিল দ্বিতীয় বৈঠক। বৃহস্পতিবার হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডার সঙ্গে দেখা করেন রাহুল গান্ধী। এরপরেই জি-২৩-এর নেতাদের সঙ্গে গান্ধী পরিবারের আলোচনার একটি পথ খুলে গিয়েছিল। গুলাম নবি আজাদের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছিলেন সোনিয়া গান্ধী। এদিকে, সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পর আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, ''কংগ্রেস সভাপতির পদ এখন খালি নেই। আমি একজন কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে এআইসিসি সভাপতি পদের জন্য নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।''
কংগ্রেসের জি-২৩ গোষ্ঠীর নেতারা দলের নেতৃত্বে বদল চাইছেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে আজাদ বলেন, ''ওয়ার্কিং কমিটিতে ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যে তাঁকেই (সোনিয়া গান্ধী) কাজ চালিয়ে যেতে হবে। এটা কোনও বিষয় নয়। কেউ বলেনি যে মিসেস গান্ধীকেই পদত্যাগ করতে হবে। স্পষ্ট করে জানাতে চাই, আমরা ওয়ার্কিং কমিটিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।''
বৈঠকে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে ঠিক কোন কোন বিষযে তাঁর কথা হল? উত্তরে আজাদ আরও বলেন, ''মিসেস গান্ধী দলীয় সংগঠনকে কীভাবে শক্তিশালী করা যায় এবং কীভাবে সর্বোপরি কংগ্রেসকে শক্তিশালী করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করার জন্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আমরা যেখানে যেখানে হেরেছি, সেই হারের কারণ কী, তা নিয়ে আলোচনা হয়। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনগুলির জন্য কীভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যায়, কীভাবে আমাদের বিরোধীদের মোকাবিলা করতে কংগ্রেসকে একত্রিত করা যায়। তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিছু জায়গায় জাতীয় দল আছে, কিছু জায়গায় আঞ্চলিক দল আছে… সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কংগ্রেসকে কীভাবে শক্তিশালী করা যায় তা নিয়ে কথা হয়েছে।''
Read full story in English