মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূলের মিছিলে ‘দেশ কো গদ্দারো কো, গোলি মারো...’ স্লোগান উঠেছিল। ২৪ ঘন্টার ব্যাবধানে এবার সেই স্লোগানই শোনা গেল হুগলির চন্দননগরে শুভেন্দু অধিকারীর মিছিলে।
বিজেপির মিছিলে ওই স্লোগান দেওয়ার নেতৃত্বেছিলেন যুব নেতা সুরেশ সাউ। যে স্লোগানকে কেন্দ্র করে এত বিতর্ক, তৃণমূলের সমালোচনায় মুখর গেরুয়া নেতারা কেন এমন স্লোগান দেওয়া হচ্ছে? জবাবে সুরেশ বলেন, 'দেশে অনুপ্রবেশ ঘটলে বা আতঙ্কবাদী হামলা চললে সেনারা যেভাবে প্রতিবাদ করেন সেটাকেই তুলে ধরতে ওই স্লোগান দেওয়া হয়েছে। কিছু গদ্দার যারা দেশের খেয়ে, দেশের পরে কিন্তু দেশের বিরুদ্ধে যায় তারা তৃণমূলেও আছে। আমরা ভারতীয় সেনাকে বলব, এই ধরনের যে সব গদ্দার আছে তাদের আগে গুলি করে মারুক।'
যদিও তৃণমূলের মতই এই স্লোগানের সমালোচনা করেছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। দল এই স্লোগানকে অমুমোদন করে না বলে গেরুয়া নেতৃত্বের। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, 'আমরা এই স্লোগানের বিরোধী। তবে গতকাল তৃণমূলের ‘গোলি মারো’ স্লোগানের থেকে এট পৃথক। গতকাল তৃণমূলের মিছিলে যে স্লোগান দেওয়া হয়েছিল তাতে তৃণমূল চিহ্নিত করে দিয়েছে কাদের গুলি মারতে হবে।'
পাল্টা তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'বিজেপির এটা ঐতিহ্য। গোলি মারো স্লোগানের তীব্র নিন্দা করছি। যে যুবক এই স্লোগান দিলেন তিনি বলছেন সেনাকে বলব এই ধরনের যে সব গদ্দার আছে তাদের আগে গুলি করে মারা হোক। সেনা বহিঃশত্রুকে মারে। ভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত হলেই তাহলে দেশদ্রোহী? ভয়ঙ্কর অবস্থা।'
এদিন হুগলির চন্দননগরের তালডাংরা মোড় থেকে মানকুণ্ডু সার্কাস মাঠ পর্যন্ত রোড–শো ছিল বিজেপির। যার নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিং, স্বপন দাশগুপ্তরা। সেখানে ওঠা এই 'গোলি মারো' স্লোগান ঘিরে ভোটের আগে বঙ্গ রাজনীতিতে বিতর্ক তুঙ্গে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন