‘খট্টা-মিঠা’ সম্পর্কের ইতি। নবান্ন-রাজভবন সম্পর্কে ‘যুগান্তকারী বদল’ হয়েছে বলে জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এরপর আর সংবিধান মেনে কাজ করতে কোন কিছুই অন্তরায় হবে না বলে মনে করেন ধনকড়।
বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে রাজ্যপাল বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম ৬ মাস আমার সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্ক ছিল খট্টা-মিঠা। বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানেও যার প্রতিফলন লক্ষ্য করা গিয়েছে। কিন্তু আমি ভারতীয় সংবিধানে বিশ্বাসী। কেউ বলার আগেই আমি জানি যে, সরকারের সঙ্গে সংবিধান মেনে কাজ করা আমার দায়িত্ব। বিরোধ দূরে ঠেলে সমন্বয় ও সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করাই আমার কর্তৃব্য। আমি সেই পথেই বরাবর চলেছি। তাতেই যুগান্তকারী বদল ঘটেছে। রাজ্য ও রাজ্যপাল সম্পর্কের মোড় ঘুরিয়েছে।’
আরও পড়ুন: দুর্লভ দৃশ্য, এক সঙ্গে হাসছেন মমতা-ধনকড়
গত সোমবারই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রায় ১ ঘন্টা বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। এছাড়াও, দেকা করেছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। মুখ্যসচিবও রাজভবনে গিয়ে ধনকড়ের তোলা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এরপরই বরফ গলতে শুরু করে। রাজ্যপালের কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কতা বলে আমি সন্তুষ্ট। অর্থ ও শিক্ষামন্ত্রীও এসে বৈঠক করেছেন। সব ক্ষেত্রেই আলোচনা হয়েছে গঠনমূলক। আশা করি এই ধরনের বৈঠক আরও হবে। আমিও সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে সক্ষম হব।’
আরও পড়ুন: রাজভবনে ধনকড়-মমতা একান্ত বৈঠক শেষ
রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য প্রসানের নানা কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সেসব নিয়ে আলোচনা করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন তিনি। ধনকড়ের সেই আর্জি মেনেই ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী। মমতা-ধনকড় কথা হয় প্রায় ১ ঘন্টা। পরে রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গেও রাজ্যপালের বৈঠক হয়। যা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে টুইট করেন রাজ্যপাল।
জগদীপ ধনকড়ের টুইট ও শিলিগুড়িতে করা মন্তব্য প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্যপাল পদটিকে সম্মান জানানোই বাংলার পরম্পরা। রাজ্য সরকার রাজ্যপালের সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতেই কাজ করতে আগ্রহী। বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর গ্রহণযোগ্য মতামত, পরামর্শ আমরা মেনে চলতে আগ্রহী। তবে, তা নীতি বিরুদ্ধ হলে মানা সম্ভব নয়। তাঁর প্রতি আমাদের কোনও অশ্রদ্ধা বা উদাসীনতা রয়েছে নেই।’
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন