তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। যেকোনও ফাইলে সই করতে গেলেই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান সরকারকে ‘ব্ল্যাকমেল’ করেন বলে দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যের।
সম্প্রতি পড়ুয়া বরখাস্ত থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের বিশ্বভারতীতে প্রবেশকে কেন্দ্র করে নানা বিতর্ক মাথাচাড় দেয়। এ জন্য উপাচার্য বিদ্যুথ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সরব বীরভূম জেলার তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এ দিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে কবিগু প্রতিষ্ঠিতি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা তুলে ধরেন রাজ্যের শাসক দলের প্রধান। এই প্রসঙ্গেই রাজ্যপালকে নিশানা করেন তিনি। চড়া সুরে বলেন, "এখানকার সবেতে ওঁনার লোক দিতে হবে, নাহলে উনি ফাইলে সই করবেন না। আমরা একটা ফাইল সই করাতে দিলেই ব্ল্যাকমেল করেন। কিন্তু, বিশ্বভারতীর সব বোর্ড মেম্বারই তো বিজেপির। কই রাজ্যপাল এ নিয়ে কিছু বলেন না তো?"
আরও পড়ুন- সস্ত্রীক অভিষেককে ইডির তলবে ‘ক্ষুব্ধ’ মমতা, তোপ দাগলেন বিজেপির বিরুদ্ধে
২০১৯ সালের মাঝামাঝি বাংলার রাজ্যপাল পদে বসেছেন জগদীপ ধনকড়। সেই থেকেই নবান্ন ও শাসক দলের তাঁর সম্পর্ক বৈরীতার। তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই স্বৈরাচারী পদক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন ধনকড়। পাল্টা রাজ্য পালকে বিজেপির ক্যাডার বলে দেগে দিয়েছে তৃণমূল। যা নস্যাৎ করেছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। এই টানাপোড়েনের মধ্যেই এ দিন ঝনকড়ের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- ‘তৈরি হোন, জোট বাঁধুন’, বিজেপিকে রুখতে মুখ্যমন্ত্রীদের বার্তা মমতার
পাশাপাশি, কেন্দ্রের মোদী সরকার যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বারে বারেই আঘাত হানছে বলে নিন্দা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের জোট বাঁধারও দাবি তুলেছেন। তাঁর কথায়, "অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উদ্ধব ঠাকরেদের হেনস্থা করছে। রাজ্যের বরাদ্দ দিচ্ছে না। অথচ কর নিয়ে চলে যাচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই বলছি তৈরি হোন, জোট বাঁধুন।"
আরও পড়ুন- ‘হিম্মত থাকলে আটকে দেখান, ইডি-সিবিআই দেখিয়ে লাভ নেই’, অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে "দানবীয় ও দাঙ্গার সরকার" বলে কটাক্ষ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এ ধরণের 'প্রতিহিংসাপরায়ণ' দল তিনি দেখেননি বলেও জানিয়েছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন