সংশয় কাটলো। আগামী বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকেযোগ দিচ্ছে জম্মু-কাশ্মীরের গুপকরা জোটের নেতার। ২৪ জুন উপত্যকার মূল ধারার সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কী নিয়ে আলোচনা তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট করা হয়নি। কিন্তু, ৩৭০ ধারা রদ ও জম্মু-কাশ্মীরকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসাবে বিভক্তির পর ভূস্বর্গের রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে এটাই প্রথম বৈঠক হবে মোদীর। তাই এই বৈঠক ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে।
কিন্তু, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার প্রত্য়াহারের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব পিডিপি নেত্রী মেহেবুবা মুফতি। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের আগে মোদী সরকারের সঙ্গে কথা বলায় রাজি ছিলেন না তিনি। ফলে গুপকার জোট কোন কোন নেতা ২৪ জুনের বৈঠকে থাকবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এদিন শ্রীনগরে গুপকার জোটের নেতারা বৈঠক করেন। তারপরই তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়। কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কন্ফারেন্সের নেতা ফারুক আবদুল্লাহ সহ মেহবুবা মুফতি ও মোহম্মদ ইউসুফ তারিগামি দিল্লিতে মোদীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দেবেন বলে ঘোষণা করা হয়। আশা প্রকাশ করা হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে গুপকার জোটের এজেন্ডা বলার অবকাশ থাকবে।
পিডিপি নেত্রী মেহেবুবা মুফতি বলেছেন, 'আমাদের থেকে ৩৭০ ধারা ছিনিয়ে নেওয়া অসাংবিধানিক ও কেন্দ্রের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। এই আধিকার পুনরায় ফিরিয়ে না দিলে ভূস্বর্গে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা যাবে না।' সিপিএম নেতা মোহম্মদ ইউসুফ তারিগামির কথায়, 'গুপকার জোটের এজেন্ডার কথা বলবো। সংবিধান আমাদের যে অধিকার দিয়েছিল তা পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হবে।' অর্থাৎ, বৈঠকে গুপকার জোট যে ৩৭০ ধারা পুনরায় লাগুর দাবি জানাতে চলেছে তা পরিষ্কার।
আরও পড়ুন- বিয়ে নিয়ে ভুল তথ্য! Nusrat-এর কড়া শাস্তির দাবিতে লোকসভার স্পিকারের দারস্থ বিজেপি সাংসদ
২০১৯ সালের অগাস্টে উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা রদ ও রাজ্য ভেঙে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল গঠন করে কেন্দ্র। যার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে জম্মু-কাস্মীরের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানকার স্থানীয় রাজনৈতির দলের বহু নেতাকে জেলবন্দি, গৃহবন্দি করে রাখা হয়। এরপরই বিজেপি-কংগ্রেস ব্যতীত জম্মু-কাশ্মীরের মূল ধারা ছয়'টি রাজনৈতিক দল নিয়ে গঠন করা হয় গুপকার জোট। ভূস্বর্গে ৩৭০ ধারা ফের লাগু করাই এই জোটের মূল দাবি।
কাশ্মীরকে ফের পূর্ণরাজ্যের তকমা ফেরাতে পারে কেন্দ্র। সীমানা পূর্নবিন্যাসের পর হতে পারে ভোটও। এই দুই ইস্যিতেই প্রদানমন্ত্রী উপত্যকার মূল ধারার সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন বলে অনুমান। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বৈঠক উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত এক শীর্ষ সরকারি আমলা বলেছেন, 'রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার করে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরই এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য।'
প্রধানমন্ত্রী বৈঠককে আগেই স্বাগত জানিয়েছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রধান ফারুখ আবদুল্লা, পিপলস কনফারেন্সের চেয়ারম্যান সাজাদ লোনরা। এবার গুপকার জোটও অংশ নেবে মোদীর ডাকা বৈঠকে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন