পাহাড় রাজনীতিতে নয়া সমীকরণ। মাত্র তিন মাসেই বাজিমাত হামরোর। দার্জিলিঙের গত ৪০ বছরের বস্তাপচা গোর্খাল্যান্ড স্লোগান নেই, নেই কোনও অশান্তি, সন্ত্রাসের অভিযোগ, শুধুমাত্র সামাজিক উন্নয়ন, নতুন প্রজন্মকে আকর্ষণ করেই প্রথম সারির তাবড় দলকে হারিয়ে পুরবোর্ড দখল করে নিল নয়া হামরো পার্টি।
একটি দল প্রথমবারের জন্য ভোটের লড়াইয়ে নেমেই বাজিমাত করল। পাহাড় রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ হামরো পার্টির। দার্জিলিং পুরসভা এককভাবে দখল করল হামরো পার্টি। জিএনএলএফ থেকে বেরিয়ে এসে নতুন এই দল তৈরি হয়। পাহাড়ের পুরভোটে এবার আর পাত্তাই পেল না বিজেপি। দার্জিলিঙের ১৭ টি ওয়ার্ডে জয়ী হামরো পার্টি।
পাহাড় রাজনীতিতে এবার সরকারিভাবে আত্মপ্রকাশ নতুন রাজনৈতিক দল হামরো পার্টির। গ্লেনারিজ (Glenarys) কর্তা অজয় এডওয়ার্ডস (Ajoy Edwards)-এর তৈরি এই দল এবার দার্জিলিং পুরসভায় জয়ী হয়েছে। দার্জিলিঙের (Darjeeling) জনপ্রিয় রেস্তোরাঁর মালিক অজয় এডওয়ার্ডস। তিনিই হামরো পার্টির প্রতিষ্ঠাতা।
পাহাড়ে বরাবরই পরিচিত মুখ অজয় এডওয়ার্ডস। গ্লেনারিজ রেস্তোরাঁর কর্তা হিসেবে ব্যবসায়ী মহলে বড় নাম অজয় এডওয়ার্ডস। তিনি একাধারে GNLF-এর দার্জিলিং ব্রাঞ্চের সভাপতি পদেও ছিলেন। দলের সভাপতি মন ঘিসিং-এর ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। তবে তাঁদের সম্পর্কে চিড় ধরে। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই টিকিট পাওয়া নিয়ে দলের সঙ্গে বিবাদ শুরু হয় অজয়ের। দলে তিনি গুরুত্ব পাচ্ছেন না বলেও ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অজয়।
পরে হামরো পার্টি নামে নয়া রাজনৈতিক দল তৈরি করেন অজয়। তাঁর হাতে গড়া সেই দলই এবার দার্জিলিং পুরসভায় জয়ী হল। এদিকে, পাহাড় রাজনীতিতে আবারও প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেলেও দাগ কাটতে পারলেন না বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা। কার্যত একা হাতে দলকে টেনে নিয়ে গিয়ে বিপুল এই সাফল্যের খোঁজ এনে দিলেন অজয়। দার্জিলিং পুরসভার ১৭ টি ওয়ার্ডে জয় পেয়ে বাজিমাত হামরো পার্টির।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার একটা বিক্ষুব্ধ অংশ এবারের পুরভোটে হামরো পার্টির হয়ে লড়াইয়ের ময়দানে পুরোদস্তুর নেমে গিয়েছিল। এছাড়াও জিনএলএএফ-এর একটি অংশও অজয়ের দলের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছিল। সব মিলিয়ে পুরভোটে নতুন দল হামরো পার্টিকে ঢেলে সমর্থন দিয়েছেন গোর্খাদের একটি বড় অংশ। তারই ফলস্বরূপ এবার দার্জিলিং পুরভোটে সাফল্যের মুখ দেখল নতুন এই রাজনৈতিক দল।