/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/09/hardik-patel-fast-759.jpeg)
অনশন মঞ্চে হার্দিক প্যাটেল। ফাইল ছবি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
অবশেষে আমরণ অনশন তুলে নিলেন পতিদার নেতা হার্দিক প্যাটেল। দুই পতিদার সংগঠন খোদালধাম ও উমিয়াধামের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত আমরণ অনশন প্রত্যাহার করলেন হার্দিক। পতিদার সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষণ ও কৃষকদের ঋণ মুকুবের দাবি জানিয়ে গত ১৯ দিন ধরে আমরণ অনশনে বসেছিলেন হার্দিক প্যাটেল।
হার্দিকের অনশন প্রত্যাহার প্রসঙ্গে জানানো হয় যে, আমরণ অনশন চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন হার্দিক। অনশন ভেঙে হার্দিককে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর আর্জি জানানো হয় খোদালধাম ও উমিয়াধাম নামে দুই সংগঠনের তরফে। শেষমেশ, ওই দুই সংস্থার নেতাদের আর্জি মেনেই আমরণ অনশন প্রত্যাহার করেন হার্দিক। গত ২৫ অগাস্ট থেকে আহমেদাবাদের বৈষ্ণোদেবী সার্কেল এলাকায় তাঁর বাড়ির কাছে আমরণ অনশনে বসেন হার্দিক প্যাটেল। পরে পিএএএসের আহ্বায়ক অল্পেশ কাঠিরিয়ার মুক্তির দাবিতে সরব হন হার্দিক। দেশদ্রোহিতার মামলায় গত ১৯ অগাস্ট থেকে জেলবন্দি অল্পেশ।
Ahmedabad: PAAS leader Hardik Patel breaks his indefinite hunger strike after 19 days. He was demanding reservations for Patidar community and loan waiver for farmers. #Gujaratpic.twitter.com/6qjSiCfjEz
— ANI (@ANI) September 12, 2018
আরও পড়ুন, আখ থেকেই ডায়াবেটিস, অন্য় ফসলে মন দিন আখ চাষীরা: যোগী আদিত্যনাথ
অনশন চলাকালীন হার্দিকের সঙ্গে দেখা করতে আসেন প্রকাশ আম্বেদকর, শত্রুঘ্ন সিনহা, যশবন্ত সিনহা, হরিশ রাওয়াত, জিগ্নেশ মেবানির মতো নামী-দামী ব্যক্তিত্বরা। তবে হার্দিকের অনশন চলাকালীন কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছিল মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানির গুজরাত সরকার। যদিও রাজ্য সরকার ও হার্দিকের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন সি কে প্যাটেলের মতো পতিদার সংগঠনের কয়েকজন নেতা। তবে এ কথা উড়িয়ে দিয়েছে পিএএএস।
অনশন চলাকালীন নিজের নামের উইলের কথা ঘোষণা করেন হার্দিক প্যাটেল। হার্দিক জানান যে, তিনি চক্ষুদান করবেন। একইসঙ্গে তিনি জানান যে, তাঁর সম্পত্তি তিনি তাঁর বাবা-মা ও বোনকে দেওয়ার পাশাপাশি ১৪ জন যুবকের পরিবারকে দেবেন। ২০১৫ সালে সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নিহত হন ওই ১৪ জন যুবক। চলতি মাসের ৭ তারিখ শ্বাসকষ্ট এবং কিডনি সংক্রান্ত সমস্যার জেরে হার্দিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকদিন পর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেও অবশ্য অনশন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।