পিছিয়ে গিয়ে আগামী সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে হবে পুরো ভোট সংক্রান্ত মামলার শুনানি। ফলে ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোট নিয়ে অনিশ্চিয়তা তৈরি হল।
মেয়াদ উত্তীর্ণ সব পুরসভার ভোট একসঙ্গে করার দাবি জানিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। একই দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করে বিজেপি। সেই মামলার শুনানিই এ দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হবে আগামী সোমবার।
আরও পড়ুন- প্রাইমারি শিক্ষকপদে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ কমিশনের, নিয়োগ ৪৭৪ পদে
১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোট করতে আগ্রহী রাজ্য সরকার। রাজ্যের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছিল কমিশনও। কিন্তু, জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এই দুই শহরের পুরভোটের দিন ঘোষণা স্থগিত রাখে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বুধবার হাইকোর্টের শুনানির পরই এ দিন অথবা বৃহস্পতিবার কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোটের দিন ঘোষণা করবে বলে স্থির করেছিল কমিশন। কিন্তু শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় জটিলতা তৈরি হয়েছে।
পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশেরও কতগুলি প্রক্রিয়া রয়েছে। ডিসেম্বরের ১৯ তারিখ কলকাতা ও হাওড়ায় পুরভোট করতে হলে বৃস্পতিবার দিনই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে, তার পরে হলে নিয়মের গেঁরোয় আটকে যাবে। নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্য সরকারকে প্রথমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারবে তার পরে। একই সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হাওড়ার জেলাশাসককেও দুই পুরসভার জন্য ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।
আরও পড়ুন- গ্রুপ ‘ডি’ নিয়োগ দুর্নীতি মামলা: CBI অনুসন্ধানের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের
এদিকে জটিলতা থেকে গিয়েছে হাওড়া পুরসভার ভোট করানো নিয়েও। কারণ, সদ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া হাওড়া পুরনিগম সংশোধনী বিলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় সাক্ষর করেননি। রাজ্যপালের সম্মতি না-পেলে ১৯ ডিসেম্বর হাওড়ার ভোট করানো কঠিন।
হাইকোর্টে পুরভোট সংক্রান্ত মামলা পিছনোর পরই আইনজীবীদের পরামর্শ নিচ্ছে কমিশন। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাইকোর্টে পুরভোট নিয়ে মামলা চললেও পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা নিয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। নেই কোনও নির্দেশিকাও। ফলে আইনত কমিশনের এক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি জারি নিয়ে এখনও কোনও বাধা নেই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন