'মোদী পদবি' নিয়ে মন্তব্যের জেরে সুরাট আদালত জেল দিয়েছে। স্বস্তি চেয়ে গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কিন্তু, মঙ্গলবার গুজরাট হাইকোর্ট তাঁকে স্বস্তি দিল না। ফলে আরও বিপাকে রাহুল। কার্যত তাঁকে অথৈ জলে ভাসিয়ে আবেদনের শুনানির দ্বিতীয় দিনে গুজরাট হাইকোর্ট সুরাট আদালতের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেছে। উলটে বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের আদালত জানিয়েছে, গ্রীষ্মকালীন ছুটির জন্য আদালত ৮ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। কারণ, বিচারপতি প্রচ্ছক ৮ মে থেকে দেশের বাইরে বেড়াতে যাবেন।
বিচারপতি চূড়ান্ত রায়ের প্রত্যাশিত সময়সীমা জানানোর পর, রাহুল গান্ধীর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের অনুরোধ করেছিলেন। বিচারপতি প্রচ্ছক পালটা জানান যে তিনি চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়ার আগে সুরাটের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে ঘটে যাওয়া মামলার পুরো বিচার প্রক্রিয়ার রেকর্ড খতিয়ে দেখতে চান।
মঙ্গলবার অভিযোগকারী পূর্ণেশ মোদীর আইনজীবী যুক্তি দেন যে, আদালতের কক্ষে কংগ্রেস নেতার অবস্থান জনসাধারণের থেকে আলাদা। আইনজীবী আরও জানান যে গান্ধী যদি নিজের অবস্থানে থেকে অবিরাম এবং দ্রুত বলে যেতেন, সেটাই ঠিক হত। কিন্তু, তিনি আদালতের কাছে পরিত্রাণ চেয়ে যেভাবে 'শিশুর মত কান্নাকাটি' করছেন, সেটা ঠিক না।
এর আগে কর্ণাটকে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ললিত মোদী, নীরব মোদীর প্রসঙ্গ টেনে রাহুল গান্ধী প্রশ্ন করেছিলেন যে, 'সব মোদীই কি চোর?' তাঁর এই মন্তব্যের জেরে বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদী রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে 'মোদী সম্প্রদায়'-কে অবমাননার মামলা দায়ের করেন। সেই মামলাতেই গুজরাটের সুরাট আদালত রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন- কোটা বৃদ্ধি, ওপিএস ফেরানো, আইন বাতিলের প্রতিশ্রুতিতে কর্ণাটকে প্রকাশিত কংগ্রেসের ইস্তাহার
যার জেরে কংগ্রেস নেতার লোকসভার সদস্যপদ পর্যন্ত খারিজ হয়ে গিয়েছে। তবে, নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদনের জন্য রাহুলের কারাদণ্ড শুরুর মেয়াদের সময়সীমা কিছু দিন পর থেকে হবে বলে জানিয়েছিলেন সুরাট আদালতের বিচারপতি। এই পরিস্থিতিতেই গুজরাটের সুরাট আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কিন্তু, তাঁকে কার্যত অথৈ জলে ভাসিয়ে বিদেশ সফরে চলে গেলেন গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি।