Advertisment

মোদীর বন্ধু আদানি কমে কিনে চড়া দামে আপেল বেচছে, অভিযোগ হিমাচলবাসীর

এই পার্বত্য রাজ্যে ১২ নভেম্বর নির্বাচন। জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেস।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Apple and congress leader

কংগ্রেস নেতা কুলদীপ সিং রাঠোর

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বন্ধু গৌতম আদানি ৭০-৭২ টাকায় আপেল কিনছে। সেই আপেল বিক্রি করছে ২৫০-৩০০ টাকায়। এটা শোষণ। এমনটাই অভিযোগ করলেন হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস নেতা কুলদীপ সিং রাঠোর। তিনি হিমাচল প্রদেশের প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। ১২ নভেম্বর এই পার্বত্য রাজ্যে নির্বাচন। রাঠোর থিওগ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন। এই অঞ্চলে বর্তমানে আপেল চাষিরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।

Advertisment

এই প্রসঙ্গে কুলদীপ সিং রাঠোর বলেন, 'বিজেপির যদি পুনরায় ক্ষমতায় আসাটা লক্ষ্য হয়, তবে কংগ্রেসের লক্ষ্য তাদের এখান থেকে মুছে দেওয়া।' মোদী হিমাচল প্রদেশে বিজেপিকে পুনরায় ফেরানোর আহ্বান জানিয়েছেন। সেই আহ্বানে রীতিমতো উজ্জীবিত বিজেপি কর্মীরা। কিন্তু, বছর ৬১-র রাঠোর তারপরও রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, 'আমি প্রথমবার নির্বাচনে লড়ছি। কিন্তু, বিভিন্ন জনের হয়ে নির্বাচন সামাল দেওয়ার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে। আমি দীর্ঘদিন দলের সঙ্গে যুক্ত। প্রদেশ কংগ্রেসের বিভিন্ন পদে থেকে বহুদিন কাজ করেছি, করে চলেছি। তার থেকেই অভিজ্ঞতা জন্মেছে।'

ভোট কৌশল নিয়েও রীতিমতো সোজাসাপটা রাঠোর। তিনি বললেন, 'জয়রাম ঠাকুরের সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ ক্ষুব্ধ। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। উন্নয়ন থমকে আছে। বেকারত্ব বাড়ছে। অর্থনীতির অবস্থা খারাপ। এই সব নিয়ে মানুষ আমাদের থেকে প্রতিকার চায়। আমরা ক্ষমতায় এলে এই সব বিষয়েই নজর দেব।'

আত্মবিশ্বাসী রাঠোর বলে চলেন, 'গত বছর কংগ্রেস হিমাচলপ্রদেশে একটি লোকসভা কেন্দ্র এবং চারটি বিধানসভা নির্বাচনে জয় পেয়েছে। সেই সময় আমিই ছিলাম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সুতরাং, আমি জানি যে কীভাবে মানুষের কাছে যেতে হয়। তাঁদের সবচেয়ে বেশি ছুঁয়ে যায়, এমন সমস্যাগুলো তুলে ধরতে হয়।'

আরও পড়ুন- ইউক্রেনে ভারতীয় পড়ুয়াদের প্রত্যাবর্তন, পরিস্থিতি দেখে নতুন করে পরামর্শদান কেন্দ্রের

রাঠোরের অভিযোগ, তাঁর এলাকা আপেল বেল্ট। কিন্তু, সেই অঞ্চলকেই উপেক্ষা করেছে বিজেপি। তিনি বলেন, 'আপেল বেল্ট পুরোপুরি উপেক্ষা করেছে বিজেপি সরকার। অথচ, আপেল শিল্প থেকে হিমাচল প্রদেশের আয় হয় ৫,০০০ কোটি টাকা। এটা কর্মসংস্থান তৈরি করে। রাষ্ট্রীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে। করোনা অতিমারী চলাকালীন আপেল শিল্পই হিমাচল প্রদেশে একমাত্র ভালো ভাবে চলেছে।'

রাঠোরের অভিযোগ, 'কিন্তু, বিজেপি তাতেই মনোযোগ দিচ্ছে না। শুধু তাই নয়, বিজেপি সরকার ছত্রাকনাশকের ওপর ভর্তুকি বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ, এই ছত্রাকনাশক আপেল চাষিরা ব্যবহার করে। সরকার যে শুধু ভর্তুকি তুলে দিয়েছে, তাই নয়। আপেলের একটি কার্টনের ওপর ১৮ শতাংশ জিএসটি বসিয়েছে। এতে আপেল শিল্পের ক্ষতি হচ্ছে।'

Read full story in English

apple Election Himachal Pradesh
Advertisment