মর্মান্তিক প্রয়াগরাজ হত্যাকাণ্ড শুধুমাত্র ভয়ঙ্কর গুন্ডা আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরাফকে বন্দুকের নলের সামনে রেখে হত্যাই নয়। এই হত্যাকাণ্ড পুলিশি হেফাজতে হত্যা, সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে হত্যা। ঘটনার সময় সাংবাদিকরা গোটা ঘটনার ভিডিও করছিলেন। ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করছিলেন। আবার ঘটনার পর টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে সেইসব ভয়ঙ্কর ছবিগুলো সারা দেশের ঘরে ঘরে ছড়িয়ে যাচ্ছে।
আরও খারাপ যেটা, তা হল যে সাধারণত দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখায় উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। এমনটাই বলা হয়। সেই পুলিশবাহিনীর সদস্যরাই অসহায়ভাবে হত্যাকাণ্ডের নাটকটি দেখেছেন। ঘটনাস্থলেই আতিক ও তাঁর ভাইয়ের তিন হত্যাকারীকে আটকাতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কেউ বন্দুক বের করেননি। একটি দেশের জীবনে এমন ঘটনা যখন ঘটে, তখন তা একটি মৌলিক চরিত্র অর্জন করে। আর, এই সব জিনিসই ভবিষ্যতের ঘটনার আশ্রয়দাতা হয়ে ওঠে। আতিক হত্যার মুহূর্তটাই যেমন ছিল।
অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পুলিশের এই ব্যর্থতা দেখে যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া উচিত ছিল। কারণ, এই হত্যাকাণ্ডগুলো চোখের বদলে চোখ এবং দাঁতের বদলে দাঁতের নীতির প্রতিনিধিত্ব করেছে। যা বিচার হওয়ার আগেই ন্যায়বিচারের কথা বলে। এই পদ্ধতি কোনও সভ্য মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। একটি গণতান্ত্রিক দেশের জাতির কথা তো বাদই দিন। অত্যন্ত দুঃখের হলেও এমন ঘটনাই কিন্তু, ২০২৩ সালের ভারতে ঘটেছে।
আরও পড়ুন- মহারাষ্ট্রের কুর্সিতে ফের রদবদল? বিস্ফোরক দাবি সঞ্জয় রাউতের
তার মধ্যেই গোরক্ষপুর, লখনউ, মুজাফফরনগর, নয়ডা-সহ উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে উঠে আসা কণ্ঠস্বর দেখিয়েছে যে বিপুলসংখ্যক লোক যা ঘটেছে, তাকে সমর্থন করেছে। লখনউয়ের এক ব্যবসায়ী বলেছেন, 'এই হত্যাকাণ্ডে হিন্দুদের ১৫০ শতাংশ সমর্থন রয়েছে। যে আতিক কয়েক দশক ধরে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছিল, শেষ পর্যন্ত তার বিদায় ঘটেছে।' শুধু ওই ব্যবসায়ীই নন। শিক্ষিত ব্যক্তি, অধ্যাপক, পেশাদার ব্যক্তিরাও পর্যন্ত যা ঘটেছে, তাকে সমর্থন করেছেন। এমনটাই জানিয়েছেন গোরক্ষপুরের এক কংগ্রেস কর্মী।