দু'দিন আগে ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সভাপতি হয়েছেন সুবল ভৌমিক। ৬ জনের কোর কমিটির সদস্যের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক আশিস দাস। তৃণমূলের নয়া কমিটি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন আশিস দাস। যদিও বিষয়টি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলে নেবেন বলে জানিয়েছেন সুবল ভৌমিক।
দীর্ঘ দিন ধরে তৃণমূলের কমিটি হচ্ছে না বলে ত্রিপুরা তৃণমূলে ক্ষোভ বাড়ছিল। সামনে ২০২৩-এ পরশি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। শেষমেশ বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরে আসা প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ত্রিপুরায় ইনচার্জ করে তৃণমূল কংগ্রেস। আগরতলায় ঘাঁটি গেঁড়ে পড়ে আছেন রাজীব। গত শুক্রবার নতুন কমিটি ঘোষণা হলেও কেউ কেউ সেই কমিটি গঠন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে। তিপ্রা মথার সভাপতি বিজয় রাংখাল জানিয়ে দেন, তৃণমূলের একাংশ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
ন্যাড়া হয়ে, প্রায়শ্চিত্ত করে, ঢাকঢোল পিটিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির বিধায়ক আশিস দাস। সেই যোগদান নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়েছিল। প্রাক্তন এই বিধায়কের নতুন কমিটি গঠনের পর মোহভঙ্গ হয়েছে। এদিন তাঁর বক্তব্যে তা একেবারে স্পষ্ট। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে আশিস দাস বলেন, 'রাজ্য কমিটিতে যে মুখ তুলে ধরা হয়েছে তাতে ২০২৩-এ ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী পাবে না। পঞ্চম শ্রেণি, অষ্টম শ্রেণি পাস লোকদের দলের বিভিন্ন সেলের মাথায় বসানো হয়েছে। ওদেরকে দিয়ে হবে না। ২০২৩-এ এক থেকে দেড় শতাংশ ভোটও পাবে না।'
এদিন নতুন রাজ্য কমিটির প্রথম বৈঠক হয়েছে। সূত্রের খবর, নয়া কমিটির ৭ জন এক্সিকিউটিভ সদস্য হাজির হয়েছিলেন রবীন্দ্রপল্লীতে আশিস দাসের বাসভবনে। সেখানে মোট ২৫ জন হাজির ছিলেন। নতুন কমিটি আদৌ ত্রিপুরায় কিছু করতে পারবে কিনা তা নিয়েই মূলত আশিসবাবুর বাড়ির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভবিষ্যতে নতুন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কিনা তা নিয়েও আগামি দিনে বৈঠকে বসবেন বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন- ‘ললিপপ দেখিয়ে লাভ হবে না’, দাবি পূরণ না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি অর্জুন সিংয়ের
ত্রিপুরা তৃণমূলের নতুন কমিটি নিয়ে আশিস দাসের মন্তব্য প্রসঙ্গে রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিক বলেন, 'ওনার অফিসিয়াল বক্তব্য পাইনি। আমার মনে হয় তেমন কিছু না। সেটা দলীয়ভাবে দেখছি। ওনার সঙ্গে কথা না বলে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। একদিকে আশিস দাস নয়া কমিটির দ্বারা নির্বাচনী ফলাফল খারাপ হবে বলে মন্তব্য করে বসলেন।
অন্যদিকে দলের প্রাক্তন সভাপতি আশিসলাল সিং তিপ্রা মথার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, সেকথা আগেই জানিয়েছেন খোদ ওই সংগঠনের সভাপতি বিজয় রাংখাল। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, নতুন কমিটি গঠনের পর দলের একাংশের ক্ষোভ বাড়তে থাকলে ত্রিপুরায় সাংগঠনিক সমস্যায় পড়তে পারে তৃণমূল কংগ্রেস।