বাংলায় বিজেপির ডবল ডিজিট হলেই দায়িত্ব ছাড়বেন প্রশান্ত কিশোর

২০০-র বেশি আসন নিয়ে বাংলা জয়ের স্বপ্ন আসল অমিত শাহ, নাড্ডাদের ফাঁকা বুলি। দাবি তৃণমূলের নির্বাচনী স্ট্রাটেজিস্টের।

২০০-র বেশি আসন নিয়ে বাংলা জয়ের স্বপ্ন আসল অমিত শাহ, নাড্ডাদের ফাঁকা বুলি। দাবি তৃণমূলের নির্বাচনী স্ট্রাটেজিস্টের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

২০০-র বেশি আসন নিয়ে বাংলা জয় করবে বিজেপি। প্রায় নিয়ম করেই হুঙ্কার দিচ্ছেন অমিত শাহ, জে পি নাড্ডারা। কিন্তু সেই হুঙ্কার আসলে ফাঁকা বুলি ছাড়া কিছুই নয়। টুইট বার্তায় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে এমনটাই দাবি করলেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। গেরুয়া শিবিরের বঙ্গ বিজয়ের রবকেও কেন্দ্রীয় শাসক দলের সহযোগী একাংশের সংবাদ মাধ্যমের সাজানো গল্প বলে মনে করেন কিশোর। টুইটে তৃণমূলের নির্বাচনী স্ট্রাটেজিস্ট জানিয়েছেন, বাস্তবে বাংলায় 'ডবল ডিজিট' পার করা বিজেপির পক্ষে অত্যন্ত কষ্টসাধ্যের বিষয়।

Advertisment

এ দিন নিজের টুইটার হ্যান্ডলারে প্রশান্ত কিশোর লিখেছেন, 'একাংশের সংবাদ মাধ্যমের রব সত্ত্বেও বাস্তবে পশ্চিমবঙ্গে ডবল ডিজিট অতিক্রম করতে বিজেপিকে যথেষ্ট কষ্ট করতে হবে।' এরপরই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। টুইটে তাঁর হুঙ্কার, 'দয়া করে এই টুইটটা সংরক্ষণ করে রাখবেন। আমার দাবি নস্যাৎ করে বিজেপি এর চেয়ে ভাল ফল করলে এই কাজ ছেড়ে দেব।'

Advertisment

বঙ্গ জয়ে মরিয়া বিজেপি। প্রতিমাসেই রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, নাড্ডারা। বাংলার উত্তর থেকে দক্ষিণ- বেছে বেছে সুচারু কৌশলে সভা করছেন তাঁরা। ভোটের আগে বঙ্গ বিজেপির সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে ইতিমধ্যেই ভিন রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভার দিয়েছেন শাহ। লোকসভা ধরে ধরে দায়িত্বে রয়েছেন পাঁচ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও দুই রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী।

এর মধ্যেই আবার বাংলার রাজনীতিতে দল বদলের দামামা শুরু হয়েছে। গত শনিবারই মেদিনীপুরে অমিত শাহের জনসভায় জোড়া-ফুল ছেড়ে পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। নতুন ইনিংসের শুরুতেই 'ভাইপো হঠাও' এর ডাক দিয়েছেন তিনি। তৃণমূলের মোট ৭ এবং বাং-কংগ্রেসের ৩ বিধায়ক যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। তালিকায় রয়েছেন মমতার দলের এক সাংসদ ও প্রাক্তন সাংসদও। আগেই দিল্লিতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম তুলেছেন কোচবিহারের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। যারপরনাই উৎসাহিত পদ্ম ব্রিগেট। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতেই হেভিওয়াট দলবদলের সম্ভাবনা প্রবল বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। এমনকী ভোটের আগেই তৃণমূল ধ্বংসেরও সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন পদ্ম নেতৃত্বের কেই কেউ।

আরও পড়ুন- এরকম রোড শো আগে দেখিনি, বিজেপিই এবার সরকার গড়বে : অমিত শাহ

লোকসভায় ব্যাপক সাফল্য। তারপর বিধানসভার আগে দলের পক্ষে হাওয়া। আপাতত এই দুই-কে মিলিয়ে বঙ্গে বিজেপির জয় এখন সময়ের অপেক্ষা বলে ধারণা মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষদের। এই প্রেক্ষাপটেই ২০০-র বেশি আসন জয়ের হুঙ্কার দিচ্ছেন শাহ-নাড্ডারা।

দলত্যাগীদের অধিকাংশ টিম-পিকের ভূমিকা নিয়ে বিরক্ত। তৃণমূলের নেতৃত্বস্থানীয় বা বিধায়ক-সাংসদদের কেউ প্রকাশ্যে, কেউ আবার আড়ালেই প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। নেতৃত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও মানতে পারছেন না শাসক দলের অনেকে। আবার অভিষেকের ঘনিষ্ঠ কিশোর। এই প্রেক্ষাপটে রাজ্যের শাক দলের 'কঠিন সময়ে' দাঁড়িয়েও বিজেপিকে নিশানা করলেন তৃণমূলে ভোট কৌশলী। ভোটের আগে যার রাজনৈতিক গুরুত্ববাহী।

এ দিকে কিশোরের চ্যালেঞ্জকে কটাক্ষ করেছেন বাংলায় বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। টুইটে তিনি লিখেছেন, 'বাংলায় বিজেপির সুনামি চলছে। সরকার গঠনের পর দেশ এক নির্বাচনী রণনীতিকারকে হারাতে চলেছে।'

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc bjp