বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে 'বহিরাগত' বলে তোপ দেগেছে তৃণমূল। এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে 'বহিরাগত এজেন্সি' বলে কড়া আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তাঁকে দেওয়া ইডি-র নোটিসকে কেন্দ্র করে মোদী-শাহ জুটিকে চ্যালেঞ্জ জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সাফ জানালেন, বিজেপির 'নোংরা' আক্রমণের সামনে মাথা নত বা আপোস-রফা করবে না তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কী বলেছেন অভিষেক?
কয়লা পাচারকাণ্ডে ইতিমধ্যেই দিল্লির ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর জেরা চলেছিল প্রায় আট ঘন্টা। এরপর আরও বেশ কয়েকবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে কেন্দ্রীয় আর্থিক দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তকারী সংস্থা। শুধু অভিষেকই নয়, এই মামলায় তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলাকেও ডেকে পাঠানো হয়, অবশ্য তিনিও ইডি গোয়েন্দাদের কাছে হাজিরা দেননি।
এরপরই ইডি-র সমনে স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। যদিও, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলবে স্থগিতাদেশ দেয়নি আদালত। ফলে কয়ালাকাণ্ডে তৃণমূল সাংসদকে ইডি-র সমনে এখন আর কোনও বাধা নেই।
আরও পড়ুন- ‘চাইলে কান মুলে পাঠিয়ে দিতে পারতাম’, মানবাধিকার কমিশনকে তোপ মমতার
এদিন যদুবাবুর বাজারে ভবানীপুরের উপনির্বাচনে প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে এসে সেই ইডি-র নোটিস নিয়েই বিজেপিকে কড়া নিশানা করেন অভিষেক। বলেন, ''আমাকে ইডি ৫বার নোটিস দিয়েছে, ৫০০বার দিলেও লাভ হবে না। আপনাদের ইডি, সিবিআই আমার কাঁচকলা করবে। মাথা নত করব না। মেরুদণ্ড বিক্রি করব না। তাই তৃণমূলকে নাগালে না পেয়ে বহিরাগত এজেন্সিকে দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে মোদী-অমিত শাহরা। কিন্তু, লাভ নেই, বিজেপিকে বধিবে যে গকুলে বাড়ছে সে।'
উপনির্বাচনের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে এদিন ভবানীপুরের ভোটারদের অভিষেক বলেছেন, ''বাংলা নিজের মেয়েকেই চেয়েছে। আপনারাও ঘরের মেয়েকেই চান, এবার এটা প্রমাণের পালা ভবানীপুরের মানুষের।' পাশাপাশি তাঁর দাবি, ''মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়ার অর্থ এক ঢিলে দুই পাখি মারা। কারণ, ভবানীপুর থেকেই আগামীতে ভারত জয়ের জয়যাত্রা শুরু করবে তৃণমূল। যার কাণ্ডারি নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।'
বাংলার বাইরে দলের শক্তি বৃদ্ধিতে মরিয়া তৃণমূল। ত্রিপুরায় সাংগঠনিক বিস্তারের লক্ষ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী সচেষ্ট। গোয়াতেও নজর জোড়া-ফুলের। অভিষেকের কথায়, 'আগামীতে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ সহ বিজেপি শাসিত সব রাজ্যে যাব, বিজেপির শাসনের আসল রূপ প্রকাশ করে দেব। ক্ষমতা থেকে ওদের টেনে সরাব। বাংলায় বিজেপি নেত্রীর পা ভেঙে ভেবেছিল জিতবে, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুইলচেয়ারে বসেই ২১৩ আসনে জিতেছেন। আগামীতে গোটা ভারতে এই অবস্থা হবে।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন