ছাত্র-যুব নেতৃত্বকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে চাইছে বঙ্গ সিপিএম। রেড ভলান্টিয়ার্সদের ওপর ভরসা রয়েছে দলের নয়া রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের। প্রায় একবছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনের পরিচিতি এখন বাংলাজুড়ে। বিগত কয়েক মাস পথে নেমে আন্দোলনও করছে ছাত্র-যুবরা। এবার রাজ্য কমিটির অন্যতম পাঁচ মুখ হলেন, সৃজন ভট্টাচার্য, প্রতীক উর রহমান, ধ্রুবজ্যোতি সাহা, ময়ুখ বিশ্বাস ও মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এর মধ্যে তিনজন ২০২১ বিধানসভায় সিপিএমের প্রার্থী ছিলেন। ধ্রুবজ্যোতি ছাড়া বাকি চারজন ছিলেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য। এবার পূর্ণ সদস্য।
একঝলকে রইল পাঁচ লড়াকু নেতা-নেত্রীর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি-
সৃজন ভট্টাচার্য
বয়স ২৯। যাদবপুরের সৃজন মাত্র ২১ বছরেই এসএফআইয়ের কলকাতা জেলা কমিটির সহ-সম্পাদক। ২৪ বছরে এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। গত বিধানসভা নির্বাচনে সিঙ্গুরের মতো হাইপ্রোফাইল কেন্দ্রে দল প্রার্থী করেছিল তরুণ-তুর্কী এই যুবকে। দিনভর প্রচারে নজর কেড়েছিল লড়াকু সৃজন। সম্প্রতি আমতার আনিস খুনে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলনের নেতৃত্বে প্রথম সারিতে রয়েছেন তিনি।
ধ্রুবজ্যোতি সাহা
আমন্ত্রিত নয়, প্রথমবারেই রাজ্য কমিটির সদস্য। এসএফআইয়ের মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সম্পাদক ছিলেন ধ্রুবজ্যোতি। তারপর ডিওয়াইএফআইয়ের জেলা কমিটির সম্পাদক হন। এখন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি। মুর্শিদাবাদের গ্রামের ৩৫ বছরের যুবকের ভাল সংগঠক বলে পরিচিতি আছে। রয়েছে হার না মানা মানসিকতা।
মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়
বছর সাইত্রিশের এই বামনেত্রীর লড়াকু পরিচিতি রাজনৈতিক মহলের নজর কেড়েছে। সম্প্রতি আনিস হত্যাকান্ডে রাস্তায় প্রতিবাদে নেমে ১০ দিন জেল খেটেছেন তিনি। পশ্চিম বর্ধমানের কুলটির মীনাক্ষী বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু, জেলায় ডিওয়াইএফআইয়ের নেতৃত্বে ছিলেন। অ্যাডভান্টেজ আগুন ঝড়ানো বক্তব্য। হিন্দিতেও সাবলীল বক্তৃতা দেন। নন্দীগ্রামে দুই হেভিওয়েট প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।
প্রতীক-উর রহমান
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবারের ফকির চাঁদ কলেজের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বছর একত্রিশের প্রতীক-উর দক্ষিণ ২৪ পরগনা এসএফআইয়ের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এখন এসএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি। আন্দোলন করতে গিয়ে নানা সময়ে জেল খেটেছেন। দুষ্কৃতীরা তাঁকে মারধর করে মৃত ভেবে রেললাইনের ওপর ফেলে গিয়েছিলেন। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রের প্রার্থী ছিলেন প্রতীক।
ময়ুখ বিশ্বাস
প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র ময়ুখ এখন এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এর আগে এসএফআই কলকাতা জেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন। রাজনীতির সঙ্গে করছেন পিএইচডি। দমদমের ময়ুখ সর্বভারতীয় রাজনীতির দায়িত্বে থাকায় বেশিরভাগ সময় দিল্লিতে থাকেন।
আরও পড়ুন- অটুট বুদ্ধ-প্রভাব, চেনা পাটিগণিতেই আলিমুদ্দিনের বাজি মহঃ সেলিম