তাঁর সরকারের আমলে রাজ্যের অর্থনীতি গোটা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে, বিরোধী দলগুলির সরকার সেকাজে ব্যর্থ হয়েছে, ভোটের প্রচারে বেরিয়ে এমনই সওয়াল উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর। কাজের নিরিখেই আবারও রাজ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপি, এমনই দাবি যোগীর।
ভোটের উত্তর প্রদেশ জমজমাট। একদিকে বিগত দিনের কাজের নিরিখে ভোট চাইছেন শসাকদলের প্রার্থীরা। অন্যদিকে, বিজেপির বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ তুলে ময়দানে বিরোধীরাও। শাসক-বিরোধীর প্রচারে জমজমাট গো-বলয়ের সবচেয়ে বড় রাজ্যের নির্বাচনী আবহ।
নির্বাচনী প্রচার বেরিয়ে উত্তর প্রদেশের আগের সরকারগুলির কড়া সমালোচনায় বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, ''১৯৪৭ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত উত্তর প্রদেশের অর্থনীতি দেশের ষষ্ঠ বা সপ্তম স্থানে ছিল। কারণ ৭০ বছরে কোনও কাজ হয়নি। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেক আমরা সফলভাবে রাজ্যকে দ্বিতীয় স্তরে নিয়ে যেতে পেরেছি।''
কথায় আছে 'উত্তর প্রদেশ যার, দিল্লি তার'। ভারতীয় রাজনীতির এই ধারণা অনুযায়ী ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা ভোট সেমিফাইনাল। দিল্লি লাগোয়া এত বড় একটি রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারলে '২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে তা গেরুয়া শিবিরকে বাড়তি মাইলেজ জোগাবে।
আরও পড়ুন- ৭ দফার ভোটে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মরিয়া কমিশন, শুরু ঊর্দিধারীদের আনাগোনা
উত্তর প্রদেশে এবার ৭ দফায় বিধানসভা ভোট হবে। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে গো-বলয়ের সবচেয়ে বড় রাজ্যে ভোট শুরু। নির্বাচন চলবে আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত। উত্তর প্রদেশে ভোটের গণনা হবে আগামী ১০ মার্চ। বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য পুলিশের সঙ্গেই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ৪১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির তদারকিতে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার জওয়ান মোতায়েন করা হবে। আলিগড়, মুজাফফরনগর এবং মিরাটেই সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
Read story in English