বিধানসভা ভোটে শোচনীয় হার। রাজ্যজুড়ে আসনের নিরিখে শূন্য বামেরা। একুশের বিধানসভার নিরিখে কলকাতায় একটি আসনেও এগিয়ে ছিল না বামেরা। কিন্তু, আট মাসের ব্যবধানে কলকাতায় লাল-বাহিনীর ভোট বাড়ল। কমল বিজেপি। আসনের নিরিখে বিজেপির থেকে পিছিয়ে থাকলেও শতাংশের বিচারে গেরুয়া শিবিরকে টেক্কা দিল লাল ঝান্ডাধারীরা। বিপুল ভোট বেড়েছে তৃণমূলের।
কলকাতা পুরনিগমের মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ১৪৪। এর মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ১৩৪টি আসন। যা গতবারের থেকে ২০টি বেশি। এবার শতাংশের বিচারে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ৭২ শতাংশ। যা আট মাসের আগের বিধানসভা ভোটে কলকাতায় প্রাপ্ত ভোটের চেয়ে প্রায় ১১ শতাংশ বেশি। ২০১৫ সালে কলকাতায় তৃণমূল পেয়েছিল প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট। দেড় বছর পর পুরভোটে যা ২২ শতাংশ বেড়েছে। যে ১০টি ওয়ার্ডে বিরোধিরা জিতেছে, তার সবকটাতেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শাসক দলের প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন- ‘BJP, CPM, Congress ভোকাট্টা-নো পাত্তা’, কলকাতায় জয়ে উচ্ছ্বসিত মমতা
এদিকে ভোট কমল বিজেপির। ২০১৫ সলের ভোটে বিজেপি পেয়েছিল ৭টি আসন। পরে দুই বিজেপি কাউন্সিলর তৃণমূলবে যোগ দেন। ফলে আসন সংখ্যা ছিল ৫টি। এবার সেই সংখ্যা আরও কমে হল ৩। প্রাপ্ত ভোট প্রায় প্রায় ৯ শতাংশ। একুশের বিধানসভার নিরিখে কলকাতায় বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ছিল প্রায় ২৯ শতংশ। যা এবার প্রায় ২০ শতাংশ কমে গেল। ২০১৫-তে কলকাতা পুরসভা ভোটে শতাংশের বিচারে পদ্ম শিবিরের ভোট ছিল প্রায় ১৫ শতাংশ। তার থেকে প্রায় ৬ শতাংশ ভোট কমেছে এবার। ২০২১ কলকাতা পুরসভার ভোটে ৪৮ ওয়ার্ডে দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন- KMC Election Results: ছোট লালবাড়িতে বামেদের মান রাখলেন দুই মহিলা প্রার্থী
কলকাতা পুরসভা ভোটে শতাংশের বিচারে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল সিপিআইএম। বামফ্রন্টের বড় শরিকের প্রাপ্ত ভোট শতাংশ প্রায় ৯.৭ শতাংশ। এবার বামেদের আসন সংখ্যা ২। প্রাপ্ত ভোট প্রায় ১১ শতাংশ। ২০১৫ সালে কলকাতার ভোটে বামেরা পেয়েছিল ১৫ আসন এবং প্রাপ্ত ভোট ছিল ১১.৭ শতাংশ। সামান্য কমলেও বামফ্রন্ট সেই ভোট ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। পরিসংখ্যানের বিচারে, একুশের বিধানসভার তুলনায় কলকাতায় বামেদের ভোট বেড়়েছে প্রায় ৭ শতাংশ। তবে ২০১৫ সালের নিরিখে তা কমেছে প্রায় ১৩ শতাংশ। ১৪৪টির মধ্যে ৬৫টিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাম প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন- কঠিন লড়াইয়ে বাজিমাত, ‘মানুষের হয়ে গেলাম’, ভোটে জিতে প্রতিক্রিয়া সজল ঘোষের
কংগ্রেস কলকাতা পুরভোটে পেয়েছে ২টি আসন। প্রাপ্ত ভোটের হার প্রায় সাড়ে ৪ শতাংশের সামান্য বেশি। ১৬টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয়স্থানে কংগ্রেস প্রার্থীরা।
৩টি ওয়ার্ডে জয়ী নির্দল প্রার্থীরা। ৪৩ নং ওয়ার্ডে জিতেছেন নির্দল প্রার্থী আশেষা কানিজ। ১৩৫ নং ওয়ার্ডে জয়ী নির্দল প্রার্থী রুবিনা নাজ এবং ১৪১ নং ওয়ার্ডে বিজয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থী পূর্বাশা নষ্কর। ৫টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্তাে রয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা।
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন