বিরাট হিন্দু সভার মঞ্চে ঘৃণা ভাষণের জেরে উত্তপ্ত জাতীয় রাজনীতি। বিজেপি বিধায়ক বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আয়োজিত সভায় প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিলেন, ২০২০ সালের উত্তর-পূর্ব দিল্লির দাঙ্গায় হাত ছিল তাঁর। লোনির বিধায়ক নন্দকিশোর গুর্জরকে পরে জানতে চাওয়া হলে তিনি ঢোঁক গিলে বলেন, তিনি গাজিয়াবাদের লোনির দাঙ্গার কথা বলেছিলেন।
রবিবার বহু ভিএইচপি নেতা এবং বিজেপি নেতা ওই কর্মসূচিতে অংশ নেন। সেখানেই মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণা ভাষণ দিতে দেখা যায় তাঁদের। বিজেপি সাংসদ পারবেশ ভার্মা ওই মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুসলিমদের পুরোপুরি বয়কটের ডাক তোলেন। সেখানে নন্দকিশোর বলেন, "আমরা কাউকে খোঁচাই না। কিন্তু যাঁরা আমাদের খোঁচায় তাঁদেরও ছাড়ি না। দিল্লিতে সিএএ নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। তখন ওই জিহাদিরা হিন্দুদের মারতে শুরু করে। তখন আপনারা ওঁদের ঘরেই ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। আমাদের উপর অভিযোগ তোলা হলে আমরা নাকি আড়াই লাখ লোক নিয়ে ঢুকেছি। আমরা তো বোঝাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের উপরেই মামলা করে পুলিশ। আমরা জিহাদিদের মারব, সবসময় মারব।"
প্রসঙ্গত, এই সভার উদ্দেশ্য ছিল মণীশ নামে একজনকে হত্যার প্রতিবাদ। পূর্ব দিল্লির সুন্দরনগরী এলাকায় গত সপ্তাহে তাঁকে ২০ বার কুপিয়ে মারা হয়। ধৃতদের মধ্যে ৬ জন সাজিদ, আলম, বিলাল, ফয়জান, মহসিন এবং শাকির। পুলিশের দাবি, পুরনো শত্রুতা থেকেই এই হত্যা। সেই ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে গুর্জর কে বলতে শোনা গিয়েছে, "এরকমটা যেন আর না হয়। পরের বারের জন্য আমরা লোনি থেকে ৫০ হাজার লোক নিয়ে আসব। সেটা বড় কথা নয়, ওঁরা আগেও এসেছিল। যখনই দিল্লির প্রয়োজন পড়বে। আমরা দিল্লিকে আলাদা জায়গা হিসাবে দেখি না।"
আরও পড়ুন জাতীয় রাজনীতিতে ইন্দ্রপতন, প্রয়াত মুলায়ম সিং যাদব, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
গতকালের বক্তব্যে গুর্জর সুন্দরনগরীকে 'শুয়োর নগরী' হিসাবে উল্লেখ করেছেন। দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা করা উচিত। এর পর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি জানিয়েছেন, "আমার লড়াই মুসলিমদের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু যাঁরা হিন্দুদের খুন করে প্রতিদিন তাঁদের বিরুদ্ধে। আমি দিল্লির দাঙ্গার কথা বলিনি। আমি লোনি এলাকার কথা বলেছি। আমরা সংঘবদ্ধ ভাবে জিহাদিদের বিরুদ্ধে লড়ব। আমি আমার অবস্থানে অনড়। দিল্লিতে আবার কিছু হলে ৫০ হাজার ছেলে নিয়ে জিহাদিদের উপর হামলা করব।"