Advertisment

প্রতিদিন শিখরে পৌঁছচ্ছে সংক্রমণ, পুরভোট পিছনো নিয়ে সিদ্ধান্ত নিক কমিশন, নির্দেশ হাইকোর্টের

করোনা পরিস্থিতিতে পুরভোট ৪-৬ সপ্তাহ পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা সেব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিল কলকতা হাইকোর্ট।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
In the Corona situation, the Calcutta HC directed the State Election Commission to take a decision on postponing the votes of four municipalities

ব্যাপকভাবে বাড়ছে সংক্রমণ। পুরভোট পিছনো নিয়ে সিদ্ধান্ত নিক কমিশন, বলল হাইকোর্ট।

রাজ্যজুড়ে বিপজ্জনক রূপ নিয়েছে করোনা। প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষ রাজ্যজুড়ে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে আসন্ন পুরভোট ৪-৬ সপ্তাহ পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা সেব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিল কলকতা হাইকোর্ট। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ উচ্চ আদালতের।

Advertisment

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে তোলপাড় বাংলা। কাতারে কাতারে মানুষ রোজ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন রাজ্যজুড়ে। এই পরিস্থিতিতে আগামী ২২ তারিখ চার পুরসভার নির্বাচন আদৌ সম্ভব কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পুরভোট ৪-৬ সপ্তাহ পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা সেব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে কমিশনেক নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

এদিন পুরভোট মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট জানিয়েছে, ''রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ, এই পরিস্থিতিতে পুরভোট কি ৪-৬ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া যায়? রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে ভোট পিছনোর ক্ষমতা রয়েছে। তাই তাঁদেরই এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিশনকে এব্যাপের তাঁদের সিদ্ধান্তের কথা জানাতে হবে।''

আরও পড়ুন- বঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, ওমিক্রনে আক্রান্ত প্রায় ৮০ শতাংশ

এরই পাশাপাশি এদিন আদালত আরও জানিয়েছে, ''প্রতিদিন শিখরে পৌঁছচ্ছে সংক্রমণ। ভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দুটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে কমিশনকে। প্রথমত, এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে তা কি মানুষের স্বার্থে হবে?। দ্বিতীয়ত, এই পরিস্থিতিতে কি আদৌ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করা সম্ভব?।''

এদিকে, পুরভোটের ইস্তেহার প্রকাশ করেছে তৃণমূল। বিধানননগর, চন্দননগর, শিলিগুড়ি পুরনিগমের নির্বাচনের জন্য ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়েছে। পুরনিগম এলাকার ১০ দিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ইস্তেহার।

উল্লেখ্য, আগামী ২২ জানুয়ারি চার পুরসভায় নির্বাচন। বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগরের পাশাপাশি পুরভোট হওয়ার কথা শিলিগুড়িতে। তবে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বিপজ্জনক আকার নেওয়ায় পুরভোট পরিচালনা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। ভোট পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছে বিভিন্ন মহল। এমনকী বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাও ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছেন। এই পরিস্থতিতে এবার হাইকোর্টও ভোট পিছনোর পক্ষে সওয়াল করেছে। যদিও যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার ছাড়া হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপরে।

election commission coronavirus highcourt Municipality Election
Advertisment