'হেরে যাওয়ার ভয়ে ঘোষণা করলেও শেষ পর্যন্ত নন্দীগ্রামে দাঁড়াবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।'কাটাক্ষের সুরে ভবিষ্যদ্বানী করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মকুল রায়।
কী বলেছেন মুকুল রায়?
জানুয়ারির শেষে বঙ্গ সফরের এসে ঠাকুরবাড়ি সংলগ্ন যে মাঠে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সভা করবেন সেই মাঠ সোমবার পরিদর্শন করেন মুকুল রায়, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোরা। ততক্ষণে রাজ্যে বিধানসভা ভোট ঘোষণার আগেই নন্দীগ্রামের সভা থেকে দলীয় প্রার্থী হিসাবে সর্বপ্রথম নিজের নাম ঘোষণা করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু গড়ে দাঁড়িয়ে যা মাস্টারস্ট্রোক বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
যদিও মমতার এই ঘোষণাকে আমল দিতে রাজি নন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'দাঁড়ালে কেমন হয় আর দাঁড়াবোর মধ্যে তফাৎ আছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়াবেন না। নন্দীগ্রামের মানুষের কাছ থেকে উনি পালিয়ে যাবেন, আর উনি দাঁড়ালেও আমাদের কোনও অসুবিধা হবে না।'
আরও পড়ুন- মাস্টারস্ট্রোক মমতার, এবার ভোটে নন্দীগ্রামের প্রার্থী তৃণমূল সুপ্রিমো
কেন হঠাৎ নিজের নির্বাচনী আসন বদলের ভাবনা মুখ্যমন্ত্রীর? জবাবে মুকুল রায় বলেন, 'এক জায়গায় নির্বাচনে দাঁড়ালে হেরে যেতে পারেন তাই উনি আর একটা জায়গা খুঁজছেন।' পাশাপাশি বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতির দাবি, ‘নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর সব আন্দোলনেই তিনি ছিলেন আর তার কৃতিত্ব নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।’
আরও পড়ুন- হাফ-লাখ ভোটে নন্দীগ্রামে হারবেন মমতা, চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর
শুভেন্দু দল ছাড়ার পর নন্দীগ্রামে কে দাঁড়িয়ে দোর্দদণ্ডপ্রতাপ নেতার মোকাবিলা করবে তা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। বেশ কয়েকটি নাম উঠেও এসেছিল। নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলের মধ্যে দিয়েই তৃণমূলের উত্থানের শুরু। নন্দীগ্রাম মমতার কাছে অন্যতম 'প্রেসটিজ ফাইট'। তাই একদিকে শুভেন্দু অধিকারীকে সরসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে অধিকারীদের কোণঠাসা করা, অন্যদিকে জঙ্গহমহলবাসীকে বার্তা দিতেই নেত্রীর নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর ঘোষণা বলে মনে করা হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন