লোকসভা ভোটের আগে শরিকি চাপে বিদ্ধ গেরুয়াবাহিনী। গতকালই অসমে জোট থেকে বেরিয়ে অমিত শাহদের ধুকপুকানি বাড়িয়েছে অসম গণ পরিষদ। সেই ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই আরও দুই শরিকের শাসানির মুখে পড়তে হল বিজেপিকে। উত্তরপ্রদেশে জোটসঙ্গী ছোট দলগুলির প্রতি শাহরা মনোভাব না বদলালে বিজেপি সঙ্গ ছাড়ার ব্যাপারে ভাববে সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি(এসবিএসপি) ও আপনা দলরা। পদ্মবাহিনীর উদ্দেশ্যে এমনই হুঙ্কার দিয়েছে ওই দুই দল।
অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ মন্ত্রী তথা এসবিএসপি প্রধান ওম প্রকাশ রাজভর নিজেদের দাবি পূরণের জন্য বিজেপিকে ১০০ দিন সময় দিয়েছেন। ২৭ শতাংশ ওবিসি সংরক্ষণ বাস্তবায়িত করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, তাঁর দলের কর্মীদের উপেক্ষা করতে থাকলে ‘যে কোনও সিদ্ধান্ত’ নিতে পারেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আপনা দলের কো-অর্ডিনেটর তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল।
আরও পড়ুন, নাগরিকত্ব বিলে আপত্তি, আসামে বিজেপি সরকার থেকে অগপ-র সমর্থন প্রত্যাহার
বিজেপির প্রতি ক্ষোভ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে রাজভর বলেন, ‘‘প্রতি নির্বাচনেই শরিকদলের সাহায্যে ভোট পায় বিজেপি। পরে শরিকদের সঙ্গে নিয়ে চলতে ওরা অনিহা প্রকাশ করে। আপনা দল এখন এটা বুঝতে পেরেছে। কিন্তু এটা আমরা গত ২১ মাস ধরে বুঝতে পেরেছি। কী শিব সেনা, উপেন্দ্র কুশওয়াহা বা রামবিলাস পাসোয়ান, কেউই এখনকার বিজেপিকে বুঝতে পারছেন না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যদি বিজেপি আমাদেরকে সঙ্গে নিয়ে ভোটে লড়তে চায়, তাহলে আমরা প্রস্তুত। না হলে, ৮০টি লোকসভা কেন্দ্রে আমরা নিজেরাই লড়ব। যদি বিজেপি আমাদের ২৭ শতাংশ সংরক্ষণের দাবি পূরণ করে, তবেই আমরা ওদের সঙ্গে আছি।’’
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকেও এদিন একহাত নেন রাজভর। তিনি বলেন, ‘‘একটা সময় ছিল, যখন আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া ছিল। কিন্তু সেটা এখন আর নেই...যোগী এখন শুধু গরুদের বাঁচাতেই ব্যস্ত। আর আমি গরিবদের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে ব্যস্ত। আমাদের চিন্তাভাবনা এখন আলাদা।’’
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে নিয়ে তাঁর কোনও সমস্যা নেই বলে আগেই জানিয়েছিলেন অনুপ্রিয়া। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কর্মীদের সম্মানের সঙ্গে আমরা আপস করব না। আমাদের দল বরাবরই জোট ধর্ম পালন করে এসেছে। সব ফোরামে আমরা আমাদের কর্মীদের দাবি তুলেছি। কিন্তু আমাদের কর্মীরা উপেক্ষিত হয়েছেন।’’ আপনা দলের সভাপতি আশিস প্যাটেল বলেন, বিরোধী জোটকে নিয়ে চিন্তা করার থেকে নিজেদের শরিকদের নিয়েই ভাবা উচিত বিজেপি নেতৃত্বের।
Read the full story in English