রাজীব কুমার কোথায়? এই মুহূর্তে এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মরিয়া সিবিআই। এই প্রেক্ষাপটে এবার রাজীব কুমারের প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। সারদা তদন্তে রাজীব কুমার মুখ খুললে অনেক প্রভাবশালীর নাম সামনে চলে আসবে, তাই তাঁর মুখ চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ার আশঙ্কা থাকছে, এ ভাষাতেই এবার উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিলেন সোমেনবাবু।
EXCLUSIVE: ‘মমতার সঙ্গে কেন কথা বলব? বিজেপিতে যোগ দিতে যাইনি’
ঠিক কী বলেছেন সোমেন মিত্র?
রাজীব কুমার প্রসঙ্গে শনিবার এক বিবৃতি দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, "রাজীব কুমারকে নাকি খুঁজে পাচ্ছে না সিবিআই। অথচ দিনের আলোর মতো এটা প্রায় পরিষ্কার যে, রাজীব কুমার ধরা পড়লে সমাজের তথাকথিত নামি দামী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নামও সামনে চলে আসবে, তাই রাজীব কুমারকে আড়াল করার জন্য প্রাণপাত করছে প্রশাসন। এমতাবস্থায় রাজীব কুমারের প্রাণহানিরও আশঙ্কা করছি আমরা। কারণ রাজীব কুমার তদন্তকারী সংস্থার সামনে মুখ খুললে অনেক প্রকৃত তথ্যই সামনে চলে আসবে। তাই রাজীব কুমারের মুখ চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। আমরা চাই, রাজীব কুমারকে সুস্থ, অক্ষত অবস্থায় অবিলম্বে সিবিআই হেফাজতে নেওয়া হোক।"
আরও পড়ুন: ‘বাবুলের গায়ে যারা হাত দিয়েছে, তাদের হাত ভাঙব’, ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি দিলীপের
প্রসঙ্গত, রাজীব কুমারকে খুঁজতে উঠেপড়ে লেগেছে সিবিআই। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কলকাতার প্রাক্তন নগরপালের কোনও হদিশ পায়নি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ক’দিন আগে বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেছিলেন, "আমার বিশ্বাস, রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যা তথ্য পাবে সিবিআই, তাতে রাজ্যের অর্ধেক মন্ত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।"
অন্যদিকে, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে একদা মমতা ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন আইপিএস তথা বর্তমান রাজ্য বিজেপি সহ-সভাপতি ভারতী ঘোষ বলেছিলেন, "কেন একজন আইপিএস অফিসারকে আজকে পালিয়ে বেড়াতে হবে? কারণ, শুধুমাত্র এই সরকারের জন্য। এখানে কোনও ভাল প্রশাসক নেই, শুধু রাজনীতি হচ্ছে। বিভিন্ন পুলিশ সুপারদের ওপরেও চাপ দেওয়া হচ্ছে। অফিসারদের বিপজ্জনক জায়গায় দাঁড় করিয়েছে এই সরকার। আজ যে কোনও অফিসার যে কোনও সময় বিপদে পড়তে পারেন।"
বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছিলেন, "রাজীব কুমার একজন দক্ষ অফিসার বলেই পরিচিত। অথচ তাঁকেই এভাবে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। নিশ্চয়ই শাসকের নির্দেশে তিনি এমন কিছু কাজ করেছেন, যার জন্য ওঁর এই পরিণতি। অন্যায় করলে শাস্তি পেতেই হবে।" এই প্রেক্ষাপটে রাজীব কুমার প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এহেন বিবৃতি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।