'ভারতের রাষ্ট্রপতি কি ওদের (বিজেপি) পকেটে রয়েছেন?'বিজেপি নেতার মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি প্রসঙ্গে দলের মুখপত্র 'সামনায়' এই প্রশ্ন তুললো শিবসেনা। আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে নতুন সরকার গঠন না হলে মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হতে পারে। জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা সুধীর মুনগন্তিওয়ার। তাঁর মন্তব্যকে অগণতান্ত্রিক ও সংবিধান বিরোধী বলে জানিয়েছে শিবসেনা।
মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে বিজেপি শিবসেনা টানাপোড়েন অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে একে অপরকে আক্রমণ শানাচ্ছেন এনডিএ জোটের দুই শরিক। পদ্ম শিবিরের সুধীর মুনগন্তিওয়ারের মন্তব্য রাজ্যের মানুষ ও নবনির্বাচিত বিধায়কদের প্রতি 'হুমকি' বলে দাবি করেছে শিবসেনা।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার শিক্ষা ঝাড়খণ্ডে নতুন করে ভাবাচ্ছে বিজেপিকে
'সামনায়' বিজেপির উদ্দেশ্যে শিবসেনার প্রশ্ন, 'রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা বলে সাধারণ মানুষকে হুমকি দেওয়ার কি মানে? এরদ্বারা কী বোঝানো হচ্ছে? রাষ্ট্রপতি কী ওদের পকেটে রয়েছেন অথবা রাষ্ট্রপতির সিল পড়ে রয়েছে মহারাষ্ট্রের বিজেপি দফতরে? বিজেপি কী বলতে চাইছে ওরা সরকার গঠন না করতে পারলে ওই সিল ব্যবহার করে মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু করবে?'
শরিককে অস্বস্তিতে ফেলতে শিবসেনার সংযোজন,'সংবিধান ও আইনের শাসন সম্পর্কে অজ্ঞতা থেকেই এই ধরণের মন্তব্য করা হয়েছে। বিজেপি নেতার এই ধরণের মন্তব্য প্রতিষ্ঠিত রীতিকে সরিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির কৌশল বলে মনে হয়। মানুষের রায়কে অপমান করা হচ্ছে বারংবার।' রাজ্যে আসন যাই থাকুক না কেন, বিজেপি চাইছে রাজ্যে তারা ছাড়া যেন অন্য কেউ শাসন করতে না পারে। দাবি শিবসেনার।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে বাঙালি খুনের প্রতিবাদে মোমবাতি হাতে কলকাতার পথে তৃণমূল
মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা ও মন্ত্রী সুধীর মুনগন্তিওয়ার শুক্রবার হুমকির সুরে বলেছিলেন, ''আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে নতুন সরকার গঠন না হলে মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হতে পারে।'' উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্র বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৮ নভেম্বর।
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনে উদ্ধব ঠাকরেদের ৫০-৫০ ফর্মুলার দাবি উড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। এবার ‘বিকল্প’ সন্ধানের ইঙ্গিত খোদ সেনার সর্বময় কর্তার মুখে। দাবি আদায়ে যা বিজেপির উপর চাপ বাড়ানোর কৌশল বলেই মনে করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবারই উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে শিবসেনার বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানেই শিবসেনা প্রধানের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, ৫০-৫০ ফর্মুলা ছাড়া সরকার গঠন অসম্ভব। উদ্ধব ঠাকরের মন্তব্যর আগেই অবশ্য জল্পনা বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের বাড়িতে গিয়ে বৈঠক করেন শিবসেনা নেতা ও দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। তবে, এই সাক্ষাৎ সৌজন্যমূলক বলেই দাবি করে রাউত বলেন, ‘‘দীপাবলির পরে শুভেচ্ছা জানাতেই পাওয়ারের কাছে গিয়েছিলাম’’।
বিজেপির 'হুমকির' পাল্টা সেনার 'বিকল্পের' ইঙ্গিত। আপাতত সরকার গঠনের দর কষাকষিতেই সরগরম মারাঠা রাজনীতি।
Read the full story in English