‘ডায়মন্ড হারবারে পদ্মফুল ফোটাব...মমতাদি আপনার সরকার চলে যাবে’, একুশের মহারণের আগে মমতার ভাইপো অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে টার্গেট করে নাড্ডা বলেন, ‘‘মমতার আমলে অসহিষ্ণুতা, অরাজকতার রাজ্য়ে পরিণত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ, অরবিন্দ কি এই ভাষা শিখিয়েছেন! বাংলা সংস্কৃতি, সভ্য়তার জননী, তাকে নিচে নামিয়েছেন’’।
ডায়মন্ড হারবার যাত্রাপথে এদিন ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। নাড্ডার কনভয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। সে প্রসঙ্গ টেনে নাড্ডা বলেন, ‘‘মা দুর্গার আশীর্বাদে এখানে পৌঁছোতে পেরেছি। আমাদের রুখতে তৃণমূলের গুন্ডারা সবরকম চেষ্টা করেছে। মমতাদি আপনার সরকার চলে যাবে, পদ্মফুল ফুটবে। বেশিদিন আর গুন্ডারাজ চলবে না। আমার গাড়িতে বুলেটপ্রুফ ছিল বলে রক্ষে পেয়েছি। এখানে প্রশাসন বলে কিছু নেই। প্রশাসনের রাজনীতিকরণ হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে বাংলায় ঘোরা মুশকিল’’।
আরও পড়ুন: তুলকালাম কাণ্ড! নাড্ডার কনভয়ে হামলা, মুকুল-বিজয়বর্গীয়ের গাড়িতে ভাঙচুর
মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে নিশানা করে নাড্ডা এদিন বলেন, ‘‘মমতার আমলে অসহিষ্ণুতা, অরাজকতার রাজ্য়ে পরিণত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ, অরবিন্দ কি এই ভাষা শিখিয়েছেন! বাংলা সংস্কৃতি,সভ্য়তার জননী। মমতার আমলে বাংলার অবনমন হয়েছে’’।
সভায় উপস্থিত থাকা কর্মীর্থকদের উদ্দেশে বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘‘ভোটের প্রস্তুতি নিন। আপনাদের হাততালি দেখেই বোঝা যাচ্ছে আগামীতে কী হতে চলেছে। বাংলার মানুষ তৃণমূলের উপর বিরক্ত। ডায়মন্ড হারবারে পদ্মফুল ফুটবে। মমতাকে ছুটি দিন, বিজেপিকে কাজ দিন। আপনাদের আশীর্বাদ চাই ’’। অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের নাম না নিয়ে কটাক্ষের সুরে নাড্ডা বলেন, ‘‘এখানকার সাংসদকে সংসদে দেখা যায় না’’।
এদিনের ভাষণে মমতাকে বিঁধতে নাড্ডার গলায় বারবার ফিরেছে ‘কাটমানি’ শব্দ। নাড্ডা বলেন, ‘‘আমফানে ১০০০ কোটি টাকা দিয়েছেন মোদী। কিন্তু চাল চুরি, ত্রিপল চুরি করছেন তৃণমূল কর্মীরা। কী দুর্নীতি!’’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন