Advertisment

জামিয়া গুলিকাণ্ডে 'সরাসরি যুক্ত' মন্ত্রী অনুরাগ, থানায় অভিযোগ দায়ের

শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য, বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ভোট প্রচারে ৭২ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে প্রকাশ্যে গুলি চলে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের 'উস্কানিমূলক' বক্তব্যের জন্যই ওই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেস সহ বিরোধীদের। ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবারের ঘটনার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে যুব কংগ্রেস সভাপতি শ্রীনিবাস বি ভি-এর তরফে। মন্ত্রীর ‘দেশ কে গদ্দারোঁ কো, গোলি মারো শালো কো’ বক্তব্যের জন্যই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা চলেছে বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে। শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, 'ঘৃণ্য' বক্তব্যের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গুলি চালানোর ঘটনা গণতন্ত্রে একটি 'কালো দাগ'।

Advertisment

গত সোমবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের একটি সভায় 'দেশ কে গদ্দারোঁ কো, গোলি মারো শালো কো' মন্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্ক বাধে। আর এরপরই রাজধানীর বুকে প্রকাশ্যে সিএএ বিক্ষোভে যেভাবে গুলি চলল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে বিভিন্ন মহলে। এদিকে, গত মাসেই উত্তপ্ত হয়েছিল জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। গত ১৫ ডিসেম্বর জামিয়া ক্যাম্পাসে পুলিশি নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে। নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ওই চত্বর। ৪টি ডিটিসি বাস, বেসরকারি গাড়ি, ১০টি বাইক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল।

সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে ফের গুলি চলে গতকাল। দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে প্রকাশ্যে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সিএএ বিক্ষোভ চলাকালীনই গুলি চালান ওই ব্যক্তি। এ ঘটনায় জখম হয় গণজ্ঞাপন বিভাগের পড়ুয়া (মাস কমিউনিকেশন) শাদাব ফারুক। তাঁর হাতে আঘাত লাগে। এইমস-এ তার চিকিৎসা করা হয়।

আরও পড়ুন: অনুরাগ-প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা নির্বাচন কমিশনের

জামিয়ার প্রোকটার ওয়াসিম আহমেদও বৃহস্পতিবারের ঘটনার জন্য মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের বক্তব্যকেই দায়ী করেন। আহমেদ বলেন, 'পড়ুয়ারা রাজঘাটের দিকে যাচ্ছিল। আমরা তাদের বুঝিয়ে আটকানোর চেষ্টা করছিলাম। প্রতিবাদ ছিল সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। তাহলে কেন ওই ব্যক্তি গুলি চালালো। ওই ঘটনার জন্য দায়ী অনুরাগ ঠাকুর ও কপিল মিশ্রের উস্কানিমূলক বক্তব্য। ওনারাই মানুষকে উস্কানি দেন, যার ফল ভুগছি আমরা। পুলিশ-প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করুক। '

শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য, বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ভোট প্রচারে ৭২ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন। একই অভিযোগে বিজেপির আরেক নেতা প্রবেশ সিং ভার্মার প্রচারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন।

Read the full story in English

bjp CONGRESS
Advertisment