বাংলায় ২১-এর বিধানসভা ভোটে প্রার্থী দেবে নীতীশ কুমারের জেডিইউ। তবে, বিজেপির সহযোগী হয়ে নয়, বঙ্গে একাই লড়বে বিহারের শাসক জোটের শরিক জেডিইউ। এখও পর্যন্ত স্থির রয়েছে ৭৫টি আসনে প্রার্থী দেবে নীতীশের দল। তবে আসনগুলি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ২৭ ডিসেম্বর দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক রয়েছে। সেখানেই বাংলার ভোটে প্রার্থী দেওয়ার খুঁটিনাটি চূড়ান্ত হবে বলে দাবি করেছেন জেডিইউ মুখপাত্র কে সি ত্যাগী।
আসন্ন ভোট ঘিরে বঙ্গ রাজনীতির উত্তাপ তুঙ্গে। পদ্ম ফোকাসে বাংলা। এককভাবেই তৃণমূলে বিরুদ্ধে লড়ে জয় হাসিলকেই পাখির চোখ করেছেন মোদী-শাহ-নাড্ডারা। স্পষ্টতই পশ্চিমবঙ্গের ভোট মেরুকৃত হতে চলেছে। তাই বাংলায় এনডিএ জোট হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। তার মাঝেই জেডিইউ-র বঙ্গে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা কিছুটা হলেও চমকপ্রদ।
আরও পড়ুন- ‘স্বামীজির ভাবনা-চেতনা নিয়েই এগোব’, বিবেকানন্দের বাড়ি থেকে বার্তা শাহের
মূল হিন্দি বলয়ের দল জেডিইউ। বিহারের রাজনীতিতেই তাদের কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ। মূলত বাংলার হিন্দু অ-বাঙালি ভোটই তাদের নজরে। তাই জেডিইউ প্রার্থী দেওয়াকে কিছুটা বাঁকা চোখেই দেখছে গেরুয়া শিবির। তাহলে কী বিহার ভোটে বড় শরিককে বার্তা দিতেই এবার নীতীশের নজরে বাংলা? এই প্রশ্নটা এখন থেকেই উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন- দলের অন্তর্দ্বন্দ্বই বিজেপির তুরুপের তাস, মানছেন তৃণমূলের কর্মীরাই
যদিও বাংলা ভোটে বিজেপির ভোট ব্যাংকে থাবা বসানো অতটা সহজ হবে না বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। কারণ, এ রাজ্যে জেডিইউ-এর দলীয় সংগঠন প্রায় নেই বললেই চলে, অন্যদিকে মাত্রে ৭৫টি আসনে প্রার্থী দিয়ে বিহারের বড় শরিককে কতটা বার্তা দেওয়া যাবে তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।
যদিও এইসব তত্ত্ব মানতে নারাজ জেডিইউ মিখপাত্র কে সি ত্যাগী। তাঁর কথায়, ‘সব দলই ননিজেদের বিস্তারে আগ্রহী। আমরাও তাই চেষ্টাই করছি। এর মধ্যে অন্য কোনও কারণ খোঁজা ঠিক নয়।’
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন