Advertisment

অমিত ছায়ায় দল পরিচালনা করবেন নাড্ডা

দলের সাংগঠনিক নির্বাচনেই ইঙ্গিত যে আপাতত শাহের জুতোয় পা গলিয়েই নাড্ডা দল পরিচালনা করবেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সোমবারই দলের দায়িত্বে জে পি নাড্ডা।

লোকসভা ভোটের পর থেকে সময়টা ভালো যাচ্ছে না বিজেপির। বর্তমানে সিএএ-এনআরসি বিরোধী আন্দোলন, জেএনইউ হামলার মত নানা বিষয় নিয়ে বেশ বেকায়দায় পদ্ম শিবির। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে তুলে দেওয়া হবে জে পি নাড্ডার হাতে। জানা গিয়েছে সোমবারই সংগঠনের শীর্ষ পদে বসবেন নাড্ডা। অমিত শাহের পর নাড্ডাই হতে চলেছেন কেন্দ্রের শাসক দলের সর্বভারতীয় সভাপতি। কার্যকরী সভাপতি হিসাবে শাহের সঙ্গে কাজ করেছেন নাড্ডা। তাই তাঁর কাজে শাহের ছাপ থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisment

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হওয়ার জন্য অর্ধেক সংখ্যক রাজ্যের প্রদেশ সভাপতিদের ভোট প্রয়োজন। সেই ভোটাভুটির পালা শেষ হয়েছে। সেদিকে তাকালেই স্পষ্ট যে, বেশিরভাগ রাজ্যেই সভাপতির পদ পয়েছেন অমিত শাহে পছন্দের নেতারা। বাংলা, উত্তরপ্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীরের নত বহু রাজ্যের বিজেপি সভাপতি পুননির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া, জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানর প্রদেশ সভাপতি পদে পুননির্বাচিত হবেন বর্তমান সভাপতিরাই। এঁরা প্রত্যেকেই শাহের আমলে কাজ করেছেন। এবার করবেন নাড্ডার সঙ্গে।

আরও পড়ুন: ‘দেশের চেয়ে কুর্শি বড়?’ কাশ্মীর ইস্যুতে মমতার কাছে প্রশ্ন নাড্ডার

তবে, উত্তরাখণ্ড, ওড়িশা, মেঘালয়, ত্রিপুরা, আসাম, অরুনাচল প্রদেশ, পাঞ্জাবের মত বেশ কয়েকটি রাজ্যে দলের রাজ্য সভাপতি পদে বদল আনা হয়েছে। অমিত শাহের অনুমোদনেই তাঁদের নেতা নির্বাচিত করা হয়েছে। তাই আপাতত শাহের জুতোয় পা গলিয়েই যে নাড্ডা দল পরিচালনা করবে তা সহযেই স্পষ্ট। এক বিজেপি নেতার কথায়. 'জে পি নাড্ডা দলের সংগঠনের দায়িত্বে এসে কী এমন পৃথক করলে তা বুঝতে অন্তত মাস ছয়েক লাগবে। দল পরিচালনার ক্ষেত্রে শাহের ছায়া থেকে বেড়িয়ে পৃথক ভরকেন্দ্র হতে পারেন কিনা সেটাও দেখার। তবে আপাতত সে সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাই শাহের ছায়া নাড্ডার কাজে লক্ষ্য করা যাবে বলেই মনে করছি।'

আরও পড়ুন: দলিত থেকে মতুয়া, সবাই নাগরিকত্ব পাবেন: নাড্ডা

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শাহের আমলে দল ক্ষমতার চূড়ায় পৌঁছেছে। শাহের দল পরিচালনা তাই নজির স্থাপণ করেছে। সেই প্রক্রিয়া থেকে দ্রুত সরে যাওয়াটাও নাড্ডার পক্ষে সহজ হবে না। এছাড়া রয়েছে সংঘের সমর্থনের বিষয়টি। নাড্ডার মাথায় সংঘ হাত রয়েছে বলে খবর। তাই আপাতত প্রচোলিত ধারা মেনেই দল পরিচালনা করতে হবে জে পি নাড্ডাকে।

প্রথম মোদী সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারত, রেইনবো-র মতো প্রকল্প সফলভাবে কার্যকর করেছিলেন তিনি। তবে, মোদীর দ্বিতীয় মেয়াদে তাঁকে মন্ত্রিসভায় নেওয়া হয়নি। তাঁকে সংগঠনের হাল ধরার দায়িত্ব দেওয়ার জন্য তখন থেকেই তৈরি রাখা হয়েছিল। সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে অমিত শাহ-এর মেয়াদ শেষ হয়েছিল গত বছরের জানুয়ারিতেই। কিন্তু সামনে লোকসভা নির্বাচন থাকায় সেই সময় তাঁকে আরেক বছর কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। দ্বিতীয় মোদী সরকারে অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেই সময় জে পি নাড্ডাকে কার্যনির্বাহী সভাপতি করা হয়।

Read the full story in English

bjp amit shah
Advertisment