দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে খড়গপুরের কলাইকুণ্ডায় চা চক্রে যোগ দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। উৎসাহী জনতার কাছে দৃঢ় প্রত্যয়ী কণ্ঠে তিনি জানান, বাংলায় এবার পদ্ম পাপড়ি মেলবে। একই সঙ্গে তুলোধনা করেন মমতা সরকারকে। তাঁর দাবি, 'মা, মাটি, মানুষের সরকারের তোষণও তুষ্টিকরণ রাজনীতির জন্য মানুষ বিরক্ত। ভোটে মমতা যাচ্ছে-পদ্ম আসছে।'
Advertisment
হরিয়াতাড়া গ্রামে বিজেপির চা–চক্রের অনুমতি ঘিরে গত কয়েক দিন ধরেই বিস্তর টানাপোড়েন চলছিল। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার রাতে মেলে পুলিশি ছাড়পত্র। তারপরই বুধবার দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে চা চক্রে যোগ দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
অল্প সময়ের ব্যবধানে বিপুল মানুষ চা চক্রে যোগ দেওয়ায় প্রকাশ্যেই সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, 'এত সকালে আপনারা এসেছেন, আমি কৃতজ্ঞ প্রত্যকের কাছে।' এরপরই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-তোলাবাজি ইস্যুতে আক্রমণ শানান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির। তাঁর কথায়, 'পিসি আর ভাইপোর গুন্ডামির কথা সবার জানা। যে মা–মাটি–মানুষের ওপর ভর করে তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছিল, আজ তাঁদের ওপরই তোলাবাজি, গুন্ডাগিরি করছে তৃণমূল। গরিব মানুষের ওপর যে অন্যায়, অবিচার করা হচ্ছে তা আর চলবে না। সবাই মা–মাটি–মানুষকে ধিক্কার দেয়। এবারের নির্বাচনে চলে যেতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।'
এদিনই হিন্দির পাশাপাশি বাংলায় কথা বূলে মানুষের মন জয়ের চেষ্টা করেন জেপি নাড্ডা। জনতার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, 'চাল চোর কে? ত্রিপল চোর কে? বালি চোর কে?' এই প্রশ্ন ছুড়তেই জনতা সমোস্বরে বলেন ‘তৃণমূল’। যা তুলে ধরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, 'আমি নয়। আপনারাই বলছেন চোর কে। আমি বলছি, পদ্ম ছাড়া রাস্তা নেই। উন্নয়ন কিছু হলে তা পদ্মের মাধ্যমেই হবে।'
কেন্দ্রীয় সরকারের নানা উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন নাড্ডা। ‘মমতাদির এত গোঁসা কেন?’ এই প্রশ্নের জবাবে নাড্ডা জানান, 'মোদী সরকারের উন্নয়নের জন্যই মমতা দিদির এত রাগ।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন